বিজেপি সরকারের প্রতি ফেসবুকের ‘নরম অবস্থান’ নিয়ে ‘আক্রমণ’ শানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তাতে ‘সাফাই’ হিসেবে উড়ে এল ’পালটা আক্রমণ'। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে কংগ্রেসের 'যোগসূত্র' তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। কিন্তু নিজেদের সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সরাসরি জবাব দিলেন না।
‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন দাবি করা হয়, ভারতে ব্যবসা ধাক্কা খাওয়ার 'আশঙ্কা'-য় বিজেপি নেতানেত্রীদের উস্কানিমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তা নিয়ে একটি টুইটবার্তায় রাহুল বলেন, 'ভারতে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করে বিজেপি এবং আরএসএস। এর মাধ্যমে তারা ভুয়ো খবর ছড়ায় এবং ঘৃণা ছড়ায় এবং ভোটারদের প্রভাবিত করতে ব্যবহার করে। অবশেষে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফেসবুকের সত্যিটা সামনে নিয়ে এসেছে।'
সেই টুইটেই ফোঁস করে ওঠেন রবিশংকর। নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের উত্তর সরাসি না দিয়ে কংগ্রেসকে ‘হেরো’ বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘যে হেরো কংগ্রেস নিজেদের দলের লোকেদেরও প্রভাবিত করতে পারে না, তারাই এক জিনিস বারবার বলতে থাকে যে সারা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে বিজেপি এবং আরএসএস। ভোটের আগে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা এবং ফেসবুকের সঙ্গে তথ্য ব্যবহারের জন্য প্রকাশ্যে ধরা পড়েছিলেন আপনি। আর এখন আমাদের প্রশ্ন করার হঠকারিতা আসছে?’
আমেরিকায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের ফেসবুক তথ্য হাতানোর অভিযোগে ২০১৮ সালে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা। অভিযোগ উঠেছিল, ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার লক্ষ্যেই কাজটা করা হয়েছিল। সেই খবর যিনি প্রথম সামনে এনেছিলেন, সেই ক্রিস্টোফার উইলি জানিয়েছিলেন, আঞ্চলিক স্তরে কংগ্রেস কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার গ্রাহক বলে ‘বিশ্বাস’ তাঁর। সেই নিয়ে যথারীতি রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছিল।
তারইমধ্যে এবার বিজেপি সরকারের প্রতি ফেসবুক নরমে মনোভাব নিয়ে কংগ্রেসের আক্রমণের পালটা আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আসল বিষয় হল যে আজ তথ্যের প্রাপ্যতা এবং বাকস্বাধীনতার গণতন্ত্রীকরণ হয়েছে। এটা আপনাদের পরিবারের লোকেদের দ্বারা আর নিয়ন্ত্রিত হয় না এবং সেজন্য এত কষ্ট হয়। আর হ্যাঁ, বেঙ্গালুরু হিংসা নিয়ে আপনার নিন্দা শুনিনি তো। কোথায় সাহস ঢাকা পড়ে গেল?’