ফের বিদ্রোহের সুর শোনা গেল রাজস্থানের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলটের গলায়। গতবছরই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করে ১৮ জন বিধায়ককে নিয়ে রিজর্টে গিয়ে থেকেছিলেন বেশ কয়েকদিন। রাজস্থানের সরকারের পতনের আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল সেই সময়। তবে শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে দলে 'ফিরে' আসেন সচিন। তবে খুব বেশি দিন শান্তি বজায় থাকল না হাত শিবিরে।
২০২৩ সালে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রাজস্থানে। এই আবহে ফের বিদ্রোহের আঁচ পাওয়া যাচ্ছে কংগ্রেসের অন্দরে। দূরত্ব বাড়ছে অশোক গেহট-সচিন পাইলটের মধ্যে। উল্লেখ্য, গতমাসে হঠাত্ই সচিন ঘনিষ্ঠ বিধায়ক হেমরাম চৌধুরী বিধআয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপরই আরও জোরালো হয় অন্তর্দ্বন্দ্বের গুঞ্জন।
এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে সচিন পাইলট বলেন, '১০ মাস হয়ে গিয়েছে। আমি ভেবেছিলাম যে কমিটি খুব শীঘ্র সব বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। আমাদের সরকারের মেয়াদের আর্ধেক শেষ হয়েছে। তবে সমস্যা মেটানো সম্ভব হয়নি। এটা দুঃখের বিষয়, যে কর্মীরা নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে দলের হয়ে কাজ করছেন, তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। আমরা সরকার গঠন করতে পেরেছিলাম এই কর্মীদের পরিশ্রমের উপর ভর করেই।'
সূত্রের খবর রাজস্থান সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল আনার কথা ভাবছে কংগ্রেসের হাইকমান্ড। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেছেন, 'এই সব বিষয়ে আলোচনা করার এটা সঠিক সময় নয়। তবে রাজস্থান সরকারে বেশ কয়েকটি শূন্য পদ রয়েছে। সেগুলি খুব শীঘ্রই পূর্ণ করা হবে।' মনে করা হচ্ছে এই রদবদলের মাধ্যমে সচিন পাইলটের অনুগামীদের পদ দেওয়া হতে পারে। তাতে দলের অন্তরকলহ মিটতে পারে। তবে এখানেও সমস্যা রয়েছে। মন্ত্রিসভায় নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে অশোক এবং সচিন, দুই জনেই চাইবেন যাতে তাঁদের অমুগামীরা বেশি সংখ্যক পদ পান। অশোক-পাইলট গৃহযুদ্ধ মেটানোর অন্যতম কারিগর ছিলেন আহমেন প্যাটেল। তবে তাঁর মৃত্যুর পর দুই নেতার দূরত্ব মেটানোর দায়িত্ব কে পাবেন, তা নিশ্চিত নয়। এদিকে সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে কংগ্রেসের ভালো ফলের জেরে অশোক গেহলটের দাম আরও বেড়েছে, যার জেরে আরও ক্ষুণ্ণ হয়েছেন সচিন পাইলট। যা পরিস্থিতি, ফের একবার রাজস্থান কংগ্রেসে ফাটল দেখা দিলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না।