কংগ্রেসের পবন খেরার অভিযোগ মোদী সরকার ভারতের জাতীয় সুরক্ষাকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। এদিকে কাশ্মীরের পুঞ্চে সম্প্রতি ভয়াবহ জঙ্গি হানা হয়। সেই জঙ্গি হানায় শহিদ হয়েছিলেন ৫জন ভারতীয় সেনা। একজন জখম হয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘটনা নিয়ে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নীরব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান পবন খেরা জানিয়েছেন, সাত দিন পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী এনিয়ে কোনও কথা বলেননি। অন্যদিকে আবার একটি মিডিয়া ইভেন্টে তিনি সুইসাইড নোটের কথা উল্লেখ করেছেন।
নিউ দিল্লিতে একটি প্রেস কনফারেন্সে পবন খেরা জানিয়েছেন, ওই জঙ্গি হানাকে নিন্দা করে প্রধানমন্ত্রী মোদী কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। এদিকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হচ্ছে এর সঙ্গে তালিবান যোগ থাকতে পারে। তারপরেও মোদী কোনও মন্তব্য করছেন না।
এদিকে কাশ্মীরের পুঞ্চে গত বৃহস্পতিবার বিকালে ভয়াবহ জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয়েছিল পাঁচ সেনার। একজন মারাত্মকভাবে জখম হন। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন পিপলস অ্য়ান্টি ফ্যাসিস্ট গ্রুপ যেটা আবার জইশ ও মহম্মদের শাখা সংগঠন বলে পরিচিত তারা এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে একাধিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে এই হামলার পেছনে লস্কর ই তইবার হাত থাকতে পারে।
ইতিমধ্য়েই একাধিক এজেন্সির আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এনআইএ গোটা এলাকা ঘুরে দেখেছে। মনে করা হচ্ছে জঙ্গিরা সামনের দিক থেকে স্নাইপার ব্যবহার করেছিল। এরপর গাড়ির উপর গুলি বৃষ্টি করা হয়। গ্রেনেড দিয়ে আঘাত করা হয়। এমনকী জঙ্গিরা স্টিলের মোড়ক দেওয়া বুলেট ব্যবহার করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যেগুলি ঢালকে ফুঁড়ে ভেতরে ঢুকে গিয়েছে। রিপোর্টে তেমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে মিডিয়া রিপোর্ট উল্লেখ করে খেরা জানিয়েছেন, ওইখানে স্টিল বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে। সেগুলি জইশ ই মহম্মদ ও লস্কর ই তইবা সম্ভবত তালিবানদের থেকে পেয়েছে। খেরা জানিয়েছেন, চিনে তৈরি স্টিল কোর বুলেট ব্যবহার করা হয়েছিল। আফগানিস্তান যুদ্ধের সময় এই ধরনের বুলেট ন্যাটো ফোর্স ব্যবহার করেছিল। আফগানিস্তান ছেড়ে আসার সময় সেই বুলেট তারা কিছু সেখানেই রেখে এসেছিল।
তিনি বলেন, আফগান ন্যাশানাল সিকিউরিটি ফোর্সের উপর তালিবানের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। সেকারণেই সেই সমস্ত অস্ত্র সরঞ্জাম খোলা বাজারে পাচারকারী, গান ডিলারদের কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আগের বিদেশ নীতি ভুলে মোদী সরকার তালিবানদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ২০২৩ বাজেটে আফগানিস্তানের জন্য ২০০ কোটির সহায়তার কথা বলা হয়েছে।