আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন আগেই। মঙ্গলবার কংগ্রেসের সদস্যপদ নিলেন কানহাইয়া কুমার। দলীয় সদর দফতরে তিনি দলের সদস্যপদ নেন। পাশাপাশি দল পরিবর্তনের কারণও জানিয়ে দিলেন তিনি। অন্যদিকে কানহাইয়া কুমার জানিয়েছেন, কংগ্রেস ছাড়া আর কোনও বিকল্প শক্তি নেই। আজ যদি কোনও বড় জাহাজ ডুবে যায় তবে ছোট নৌকাগুলিও রেহাই পাবে না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসলে তিনি বলতে চেয়েছেন কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার জন্য বিরোধীদের এককাট্টা হওয়া খুব দরকার।
তিনি বলেন, যখন বিরোধীরা দুর্বল হয়ে যায় তখনই একনায়কতন্ত্র তৈরি হয়। আমি এটা বলতে চাইছি যে দেশজুড়ে অন্তত ২০০টি আসন রয়েছে যেখানে বিজেপির বিকল্প একমাত্র কংগ্রেস। কংগ্রেস একটা বড় জাহাজ। কিছু মানুষ দেশের ক্ষতি চাইছে। বন্ধু খোঁজার জন্য আমি দেশের সবচেয়ে পুরানো দল, গণতান্ত্রিক দলে যোগ দিয়েছি। যদি কংগ্রেস জিতে যায় তবে লক্ষ, কোটি যুবকদের আশা আকাঙ্খা, স্বপ্ন বেঁচে যাবে। সেকারণে আমি এই দলে যুক্ত হয়েছি।
এদিক বার বারই প্রশ্ন উঠছে মোদীর বিরুদ্ধে বিরোধী মুখ কে হবেন? এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিরোধী মুখ হিসাবে উঠে আসছেন। সেক্ষেত্রে কানহাইয়া কুমারের দাবি, কংগ্রেসই একমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। তবে কি তিনি কংগ্রেসের ছাতার তলাতেই বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তিকে একজোট হওয়ার আহ্বান করছেন? তবে যাবতীয় বিরোধকে সামলে, কংগ্রেসের ঘরোয়া কোন্দলকে সামলে তা আদৌ কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।