দোরগোড়ায় মহারাষ্ট্রের হাইভোল্টেজ বিধানসভা ভোট। ২৮৮ আসনের এই বিধানসভা নির্বাচনে মারাঠা ভূমে শক্তি পরীক্ষার লড়াই সব রাজনৈতিক দলের। আর সেই ভোটপর্বের আগে, এদিন কার্যত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রণহুঙ্কার দিলেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি কংগ্রেস শাসিত হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক, তেলাঙ্গানার উদাহরণ টেনে, দাবি করেন এই সমস্ত রাজ্যে উন্নয়ন খারাপ থেকে অতি খারাপ পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে।
মোদী তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন,' কংগ্রেস পার্টি কঠিনভাবে উপলব্ধি করছে যে অবাস্তব প্রতিশ্রুতি দেওয়া সহজ কিন্তু সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা কঠিন বা অসম্ভব। প্রচারে পর তারা জনগণকে এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দেয় যা তারা জানে যে তারা কখনই করতে পারবে না। এখন, তারা জনগণের সামনে খারাপভাবে এক্সপোজড (আসলটা সামনে বেরিয়ে এসেছে) হয়ে গিয়েছে।' এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,'হিমাচল প্রদেশ, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানা - যে কোনও রাজ্যে আজ কংগ্রেসের সরকার আছে তা যাচাই করে দেখুন - উন্নয়নের গতিপথ এবং আর্থিক স্বাস্থ্য খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। তাদের তথাকথিত গ্যারান্টি অপূর্ণ রয়েছে, যা এই রাজ্যের জনগণের জন্য একটি ভয়ানক প্রতারণা।' তিনি বলেন,'এই ধরনের রাজনীতির শিকার হচ্ছে দরিদ্র, যুবক, কৃষক এবং মহিলারা, যারা শুধু এই প্রতিশ্রুতির সুবিধা থেকে বঞ্চিতই নয়, তাদের বিদ্যমান স্কিমগুলোকেও ম্লান করে দিয়েছে।'
বিধানসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকে অনেক বিনামূল্যের প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। এদিকে, শক্তি ফ্রি ট্রাভেল স্কিম নিয়ে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের মন্তব্য বড় বিতর্কের সূচনা করে। মোদী লেখেন, ‘কর্ণাটকে, কংগ্রেস উন্নয়নের জন্য মাথা ঘামানোর পরিবর্তে আন্তঃদলীয় রাজনীতি এবং লুটপাটে ব্যস্ত। শুধু তাই নয়, তারা বিদ্যমান স্কিমগুলিও রোলব্যাক করতে চলেছে। হিমাচল প্রদেশে সরকারি কর্মীদের বেতন সময়মতো দেওয়া হয় না। তেলেঙ্গানায়, কৃষকরা তাঁদের প্রতিশ্রুতিমত ঋণ মওকুফের জন্য অপেক্ষা করছে।’ তিনি বলেন,'পূর্বে, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানে তারা কিছু ভাতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যা পাঁচ বছর ধরে বাস্তবায়িত হয়নি। কংগ্রেস কীভাবে কাজ করে তার এমন অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।'