সংসদে শীতাকালীন অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধী ঐক্যে শান দিতে বৈঠকের ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের ডাকা কোনও বৈঠকে যোগ দেবে না তৃণমূল। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের কোর্টেই বল ঠেললেন সাংসদ তথা লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী। অধীর এই বিষয়ে বলেন, ‘আমরা সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে মতবিনিময়ের জন্য প্রতিটি বিরোধী দলের সাংসদকে আমন্ত্রণ জানাই... তবে তৃণমূল কংগ্রেস সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবে কি না তা তাদের ব্যাপার।’
সোমবার থেকে শুরু হতে চলা শীতকালীন অধিবেশনে বিজেপি বিরোধী সুর চড়ানোর ছক কষতে সব বিরোধী দলের বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেসের সাংসদ তথা রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গে। তবে সেই বৈঠকে খুব সম্ভবত থাকছেন না তৃণমূলের কোনও সাংসদ। জানা গিযেছে তৃণমূলের গোযা ইউনিট চাইছে না যে দিল্লিতে কংগ্রেস ও তৃণমূল এক টেবিলে বসুক। আসন্ন গোয়া নির্বাচনে তাহলে দলের জন্য বিজেপির বিকল্প হিসেবে নিজেদের তুলে ধরার কাজটা কঠিন হয়ে যাবে বলেই তাদের মত।
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কযেকদিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তৃণমূলের। বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরিয়ে নিজেদের জমি শক্ত করার কাজ করছে তৃণমূল। মেঘালয় থেকে গোযা, অসম, ত্রিপুরা... সর্বত্রই কংগ্রেস ভাঙিয়ে নিজেদের শাখা বিস্তারে ব্যস্ত ঘাসফুল শিবির। আবার মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বার শপথ নেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের নজরও প্রধানমন্ত্রিত্বের কুর্সির দিকে। এই আবহে তৃণমূল নিজেদেরকে কংগ্রেসের উপরের আসনে বসাতে চাইছে। বিজেপি বিরোধিতায় তারাই যে কংগ্রসের উপরে, তাও বোঝাতে চাইছে। সঙ্গে ঘাসফুল শিবিরের স্পষ্ট বার্তা, কংগ্রেসের অধীনে কাজ করার প্রশ্নই ওঠে না তৃণমূলের। এদিকে কংগ্রেসের ডাকা ওই বিরোধীদের বৈঠক থেকে তৃণমূল দূরে থাকা মানে আম আদমি পার্টি এবং সমাজবাদী পার্টির মতো অন্যান্য বিরোধী দলগুলি, যারা ইউপিএর শরিক দল নয়, তারাও বৈঠক এড়িয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী ঐক্যে ফাটল আরও চওড়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।