প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্জি মেনে টুইটারের 'ডিপি' পালটালেন। সেইসঙ্গে খোঁচা দিতেও ছাড়লেন না কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। প্রশ্ন করলেন, ৫২ বছর পর্যন্ত নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরআরএস) সদর দফতরে কেন তেরঙা উত্তোলন করা হয়নি?
ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। পালন করা হচ্ছে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি। সেইসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল পিকচারে তেরঙার ছবি রাখার আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার নিজে টুইটারের ‘ডিপি’-তে (ডিসপ্লে পিকচার) তেরঙার ছবি রাখেন। একই কাজ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ অন্যান্য নেতারা।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর আর্জিতে কংগ্রেস নেতারাও সাড়া দেন। রাহুল গান্ধী টুইটারের ‘ডিপি’-তে তেরঙার ছবি রাখেন। তাঁর ‘ডিপি’-তে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর হাতে তেরঙা দেখা গিয়েছে। সঙ্গে তিনি লিখেছেন, 'দেশের গৌরব হল আমাদের তেরঙা। প্রত্যেক হিন্দুস্তানির হৃদয়ে আছে আমাদের তেরঙা।'
রাহুলের মতোই টুইটারের ‘ডিপি’ পালটে ফেলেছেন কংগ্রেসের ছোটো-বড় নেতারা। তারইমধ্যে খোঁচা দিতে ছাড়েননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম। নেহরুর হাতে তেরঙা থাকা ছবি টুইটারের ‘ডিপি’ করে কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘তেরঙা হাতে থাকা আমাদের নেতা নেহরুর ছবি ডিপি করছি। কিন্তু মনে হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর বার্তা তাঁর পরিবারে (আরআরএস) গিয়ে পৌঁছায়নি। যারা ৫২ বছর পর্যন্ত নাগপুরে নিজেদের সদর দফতরে তেরঙা উত্তোলন করেনি। ওরা কি প্রধানমন্ত্রীর কথা রাখবে?’
আরআরএসের প্রতিক্রিয়া
আরআরএসের নেতারা কেন টুইটারের প্রোফাইল পিকচারে তেরঙার ছবি দেয়নি, তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। তা নিয়ে সংঘের এক শীর্ষ নেতা সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘এরকম বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। আরএসএস ইতিমধ্যেই হর ঘর তিরঙ্গা এবং আজাদি কা অমৃত মহোৎসব কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানিয়েছে। জুলাইয়েই সংঘের তরফে জানানো হয়েছিল, সরকারি, বেসরকারি সংস্থা এবং সংঘের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলি এই সংক্রান্ত যে যে কর্মসূচি পালন করবে, তাতে সমর্থন রয়েছে। জনগণ এবং স্বয়ংসেবকদের এই কর্মসূচিতে পূর্ণ সমর্থন জানানোর জন্য এবং অংশগ্রহণের জন্যও আবেদন করেছিল সংঘ।’ সংঘের অভিযোগ, যেই রাজনৈতিক দল এই অভিযোগ তুলছে, তারাই এই দেশের বিভাজনের জন্য দায়ী।