এফসিসি-র এক অনুষ্ঠানে ১৯৬২ সালের চিনা হামলা নিয়ে কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ারের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক। মণিশঙ্করের সেই মন্তব্যের কয়েক সেকেন্ডের একটি ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, মণিশঙ্কর আইয়ার ১৯৬২ সালের চিনা দখলদারিকে 'তথাকথিত' বলে আখ্যা দিচ্ছেন। নিজের বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেছিলেন মণিশঙ্কর আইয়ার। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটের আগে কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে দল। (আরও পড়ুন: মোদী ফের জিতলে কোন কোন শেয়ারের দাম বাড়বে? সামনে এল বড় ভবিষ্যদ্বাণী)
আরও পড়ুন: 'এবার বাংলায় বিজেপি…', রাজ্যে লোকসভা ভোটে দলের স্ট্রাইক রেট নিয়ে বড় দাবি মোদীর
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য মণিশঙ্করের মন্তব্যের ক্লিপের সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন, 'নিজের বই - 'নেহরু'স ফার্স্ট রিক্রুট' প্রকাশের অনুষ্ঠানে এফসিসি-তে মণিশঙ্কর আইয়ার ১৯৬২ সালের চিনা দখলকদারিকে 'তথাকথিত' আখ্যা দিয়েছেন। এটা রিভিশনিজমের এক নির্লজ্জ প্রচেষ্টা।' এরপর অমিত মালব্য আরও লেখেন, 'চিনের জন্য নেহরু রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী মউ স্বাক্ষর করেন। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন চিনা দূতাবাস থেকে অনুদান গ্রহণ করে। এরপর চিনা দূতাবাস এক রিপোর্ট প্রকাশ করে চিনা সংস্থাগুলির জন্য মার্কেট অ্যাক্সেসের কথা বলে। সোনিয়া গান্ধীর ইউপিএ সরকার এরপর চিনা সংস্থাগুলির জন্য ভারতের বাজার উন্মুক্ত করে দেন। ভারতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এখন কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার চিনা দখলদারির ঘটনাটিকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে দিতে চান। সেই সময় ভারতের ৩৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিন বেআইনি ভাবে দখল করেছিল। চিনের প্রতি কংগ্রেসের এই ভালোবাসা কেন?' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ভাগের চক্রান্ত চলছে... অন্য এক দেশ এয়ার বেস গড়তে চেয়েছিল এখানে: হাসিনা)
আরও পড়ুন: ষষ্ঠীতে বাংলায় কত আসন জিতবে BJP? রাজ্যে দলের ফল নিয়ে যোগ-বিয়োগ করে যা বললেন শাহ…
এদিকে বিতর্কের আবহে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তা পোস্ট করে মণিশঙ্করের মন্তব্য থেকে দলের দূরত্ব তৈরির কথা জানান। সঙ্গে তিনি মোদী সরকারকে পালটা গালওয়ান সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন করেন। নরেন্দ্র মোদীর এক পুরনো বক্তব্য শেয়ার করেন জয়রাম রমেশ। সেখানে মোদীকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'না আমাদের সীমায় কেউ ঢুকে পড়েছিল, না কেউ এখনও ঢুকে বসে আছে, না আমাদের কোনও পোস্ট শত্রুপক্ষের দখলে আছে।' এই আবহে জয়রাম রমেশ দাবি করেন মণিশঙ্কর আইয়ার তাঁর মন্তব্যের জন্যে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি যে শব্দবন্ধ প্রয়োগ করেছেন, তা থেকে কংগ্রেস দল নিজেকে দূরে রাখছে। ১৯৬২ সালে চিন ভারতের জমি দখল করেছিল। ২০২০ সালের মে মাসেও তা হয়েছিল। আমাদের দেশের ২০ জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। তবে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী চিনকে ক্লিনচিট দিয়েছিলেন। ডেপসাং, ডেমচক সহ আমাদের ২০০০ বর্গ কিমি জমিতে এখন আমাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।