কাশ্মীর পৃথক! পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধুর উপদেষ্টার মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় বয়ে গিয়েছে। এই বিষয়ে অবশ্য নিজে চুপ রয়েছেন সিধু। তবে বিজেপির পাশাপাশি এই বিষয়ে সিধুর উপদেষ্টা মালবিন্দর সিং মালিকে আক্রমণ শানিয়েছেন কংগ্রেস নেতারাও। গত বুধবার এক টুইটে মালি লিখেছিলেন, 'কাশ্মীর একটা পৃথক দেশ। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই অবৈধভাবে দখল করেছে কাশ্মীর। এই দেশ আসলে কাশ্মীরিদের।' এরপরই গতকাল এই বিষয়ে অমরিন্দর সিং সরকারি বিবৃতি দিয়ে সতর্ক করেন মালিকে। এই একই বিষয়ে অভিযুক্ত সিধুর আরও এক উপদেষ্টা লাল গর্গ। আর এদিন মালিকে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি।
এই প্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতা মণীশ তিওয়ারি বলেন, 'দল কেন, দেশে থাকার যোগ্যতা নেই এমন মানুষের।' পাশাপাশি পঞ্জবে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক হরিষ রাওয়াতের কাছে মালিকে দল থেকে বহিষ্কার করার আবেদন জানান মণীশ তিওয়ারি। এই বিষয়ে একটি টুইট করে মণীশ তিওয়ারি লেখেন, 'আমি এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই সর্বভারতী কংগ্রেস কমিটির সাধার সম্পাদক হরিষ রাওয়াতের। আমাদের আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন। যাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অংশ বলে মানেন না, তাঁদের কংগ্রেসে থাকার অধিকার রয়েছে কি না। যাঁরা ভারতের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, এটা তাঁদের মজা ওড়ানোর সামিল।'
এর আগে গতকাল এই প্রসঙ্গে সুর চড়িয়েছিলেন পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। অভিযুক্ত কংগ্রেস নেতাকে সতর্ক করে দিয়ে পঞ্জাব মুখ্যমন্ত্রী জানান, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে, এরকম কোনও কথা বর্দাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী কড়া ভাষায় বলেন, উপদেষ্টারা যাতে শুধু সিধুকেই উপদেশ দেন, এবং যেই বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান নেই, সেই বিষয়ে কোনও কথা না বলেন। এদিকে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর কাছে জবাবদিহি চেয়েছেন।