কিশোর বয়সে ভুগেছেন অবসাদে। সাংসদ হওয়ার পরও মাথায় ঘুরেছে আত্মহত্যার চিন্তা। আবার সেই অবস্থা থেকে কোনওভাবে বেরিয়ে এসেছেন। কীভাবে অবসাদের মোকাবিলা করা উচিত, তা জানেন। নিজের সেই অভিজ্ঞতা থেকে অবসাদ মোকাবিলায় পাঁচটি পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মিলিন্দ দেওরা।
অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার খবর শোনার কয়েক ঘণ্টা পর একটি টুইটবার্তায় দেওরা বলেন, 'প্রথমে কিশোর হিসেবে, এমনকী পরে সাংসদ হিসেবে আমার যে আত্মহত্যার চিন্তা ঘুরত, সেই অভিজ্ঞতা আমায় মনখারাপের সঙ্গে বাঁচা শিখিয়েছে।'
সেই টুইটের সঙ্গে পাঁচটি পরামর্শও দেন কংগ্রেস সাংসদ। বলেন, '১) আপনার পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী, এমনকী জানাশোনা কোনও মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। আপনি যতটা জানেন, তার থেকে অনেক বেশি ভালোবাসা পান আপনি। ২) মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে যে ধারণা, তা অতিক্রম করুন এবং কাউন্সেলিং করুন। বয়স, লিঙ্গ, আর্থিক অবস্থা বা সাফল্যের বাধা অতিক্রম করে অবসাদ। ৩) ভিতরের দৈত্য়ের সঙ্গে আমরা সর্বদা লড়াই করি। তাদের ছেড়ে দেবেন না। ৪) জীবন সুন্দর। ইঁদুর দৌড়ে ফেঁসে যাবেন না। গান, খাবার, বেড়ানো, পড়াশোনা, নিজের কাজ এবং প্রিয়জনদের বাছুন। যেটা আপনাকে খুশি করবে, সেটাই করুন। জীবনকে বেছে নিন (পছন্দ করুন)। ৫) আপনি যেরকম সেজন্য নিজেকে ভালোবাসুন।'
অবসাদে ভোগার কথা জনসমক্ষে জানানোয় অনেকেই ৪৩ বছরের সাংসদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সমাজে কে কী বলবেন, তাতে ভ্রূক্ষেপ না করে অবসাদকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার আর্জি জানান তাঁরা। বিশেষত, সুশান্তের মতো একজন উঠতি বলিউড তারকার আত্মহত্যার পর মানসিক অবসাদ নিয়ে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। নিজেরা কীভাবে অবসাদ কাটিয়ে উঠেছেন, তা জানিয়েছেন। সবার একটাই লক্ষ্য, সমাজের বাঁকা চোখে দেখা এবং অবসাদকে পাত্তা না দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ হোক।