বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Congress Leader's Controversial Remark: রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা বিচারকের জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার হুমকি কংগ্রেস নেতার

Congress Leader's Controversial Remark: রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা বিচারকের জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার হুমকি কংগ্রেস নেতার

রাহুল গান্ধী  (HT_PRINT)

কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলেন, '২৩ মার্চ সুরাটের আদালতের বিচারক আমাদের নেতা রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের সাজা দিয়েছেন। আপনি শুনে রাখুন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় আসবে, আমরা আপনার জিভ কেটে নেব।'

২০১৯ সালে 'মোদী পদবী' নিয়ে করা এক মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি সুরাটের একটি আদালত রাহুল গান্ধীকে দু'বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে। এর জেরে কংগ্রেস নেতার সাংসদপদও খারিজ হয়েছে। রাহুলের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া বিচারকের নাম এইচএইচ বর্মা। গুজরাটের বরোদায় জন্ম নেওয়া এই বিচারকের বর্তমানে বয়স ৪৩ বছর। এই বিচারকেরই জিভ কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বিতর্কে তামিলনাড়ুর এক কংগ্রেস নেতা। এই আবহে ওই কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই কংগ্রেস নেতার নাম মণিকন্দন। তিনি তামিলনাড়ুর ডিন্ডিগুল জেলার কংগ্রেস সভাপতি। (আরও পড়ুন: দিল্লিতে ডিএ ধরনা নিয়ে অমিত শাহের মন্ত্রকের শর্ত, আজই রওনা দেবেন সরকারি কর্মীরা)

গতকাল ডিন্ডিগুলে রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজের প্রতিবাদে কংগ্রেসের জনজাতি-উপজাতি শাখা এক সভার আয়োজন করেছিল। সেই সভাতেই বক্তব্য রাখার সময় কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বলেন, '২৩ মার্চ সুরাটের আদালতের বিচারক আমাদের নেতা রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের সাজা দিয়েছেন। আপনি শুনে রাখুন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় আসবে, আমরা আপনার জিভ কেটে নেব।' এদিকে কংগ্রেস নেতার এহেন মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে দল। এই আবহে জেলা সভাপতির এই মন্তব্যের দায় নিতে অস্বীকার করেছে হাত শিবির। (আরও পড়ুন: 'বাসের নীচে...', আদানি নিয়ে শরদ পাওয়ার 'বেসুরো' হতেই কংগ্রেসকে খোঁচা বিজেপির)

আরও পড়ুন: ঢুকছে বাতাস, ৪০ ডিগ্রি ছুঁবে পারদ, এর মধ্যে বাংলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা আছে কি?

উল্লেখ্য, মোদী পদবী নিয়ে ২০১৯ সালে কর্ণাটকের এক জনসভা থেকে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। এই আবহে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী। তাঁর দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনায়। পাশাপাশি ১৫ হাজার টাকার জরিমানাও করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ নং ধারা অনুযায়ী এই রায় শোনানো হয়। এই রায় দেওয়া বিচারক এইচএইচ বর্মা মহারাজা সয়াজি রাও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেছিলেন। এরপর তিনি জুডিশিয়াল অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকেই পরে বিচারক হয়েছেন তিনি।

 

বন্ধ করুন