রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারত পরপর ভোটদান থেকে বিরত থেকেছে। ভারত সরকারের এই নীতি সমর্থন করলেন না কংগ্রেস সাংসদ তথা রাষ্ট্রসংঘের প্রাক্তন কর্তা শশী থারুর। শশী থারুর দাবি করেন, ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের নীরব থাকা ঠিক হবে না।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে শশী থারুর বলেন, ‘বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার জন্য ইউক্রেনের ভারতের কাছে অনুরোধ সম্পূর্ণ বোধগম্য। আমাদের অবস্থান হল আমরা অন্য দেশ আক্রমণ এবং সহিংসতা ও যুদ্ধের মাধ্যমে শাসন পরিবর্তনকে সমর্থন করি না। রাশিয়া একটি বন্ধু রাষ্ট্র। রাশিয়ার কিছু বৈধ নিরাপত্তার উদ্বেগ থাকতে পারে। কিন্তু ভারতের পক্ষে হঠাৎ করে চুপ হয়ে যাওয়া, ইউক্রেনের কাছে হতাশাজনক হতে পারে।’
কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, ‘এটা দুঃখজনক যে (ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ ইস্যুতে) ভারত চুপ করে গিয়েছে। ভারতের এই নীরব থাকার বিষয়টি ভালোভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। ভারতের মতো একটি দেশ যখন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী আসনের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তথন তাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতির বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব থাকা ঠিক নয়।’
উল্লেখ্য, গতকাল ফের একবার রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে ভারত। তবে ধীরে ধীরে ভারতের ‘সুর’ বদল বচ্ছে ইউক্রেন ইস্যুতে। এর আগে এই ইস্যুতে বিবৃতি প্রকাশের সময় ভারত প্রতিবার ‘সব পক্ষের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ’-এর কথা উল্লেখ করত। তবে বিগত তিন দফায়, ভারতের বিবৃতিতে এই ‘উদ্বেগ’-এর কোনও উল্লেখ নেই। উল্লেখ্য, এই ‘উদ্বেগ’ বলতে খুব সম্ভবত রাশিয়ার ‘চিন্তা’র কথা বোঝাত ভারত। তবে ক্রমেই সেই সুর বদল হচ্ছে ভারতের। তবে এখনও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দেয়নি ভারত। এদিন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয় বিশেষ সাধারণ সভার ডাকার বিষয়ে। তাতে ভারত ছাড়াও চিন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকে। ভোট না দেওয়ার যুক্তি দিয়ে ভারত একটি বিবৃতিও প্রকাশ করে। তাতে অবিলম্বে হিংসা বন্ধের কথা বলে ভারত। তবে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কোনও বাক্যব্যয় করেনি ভারত।