রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করার বিষয়ে মাহির বিজেপি। উত্তরাখণ্ডের বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ে এভাবেই বিজেপিকে তোপ দাগল কংগ্রেস। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে CM বদল, CM বদল খেলায় মাতার অভিযোগ তুলল হাত শিবির। এর আগে দিল্লির উদাহরণ টেনে এদিন বিজেপি মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা মনে করিয়ে দেন যে সেখানেও ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সালের মাঝে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করেছিল বিজেপি। আর এবার উত্তরাখণ্ডও সাড়ে চার বছরের মধ্যে তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী পেতে চলেছে।
এদিন বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ভঙ্গিতে সুরজেওয়ালা বলেন, 'উপনির্বাচনের অজুহাত কতটা মিথ্যে। এর আগে এরম কোভিড পরিস্থিতিতে উপনির্বাচন হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে সল্ট কেন্দ্রটি ফাঁকা। তাতে উপনির্বাচন হোক। করোনা আবহে যখন একটি সরকারের দায়িত্ব মানুষকে পরিষেবা দেওয়া, সেখানে বিজেপি শুধু খেলায় মেতেছে।'
এদিকে এই মুখ্যমন্ত্রী বদলের নেপথ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখার কৌশল দেখছেন কংগ্রেস নেতা করণ মেহরা। এদিন তিনি বলেন, 'রাওয়াতের পদত্যাক পরোক্ষ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আখ্রমণ করা। এটা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর উপনির্বাচন নিয়ে চাপ তৈরির লক্ষ্যে করেছে বিজেপি।' উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে জিততে পারেননি। তাই মমতাকে ভবানীপুর আসন ছেড়ে দিতে বিধায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন শোভদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে কোভিড আবহে উপনির্বাচন কবে হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার ছ'মাসের মধ্যে গাড়ওয়ালের সাংসদ তিরথকে উপনির্বাচনে অংশ নিতে হত। কারণ তিনি বিধায়ক ছিলেন না। কিন্তু এই উপনির্বাচন ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়। এর আগে উত্তরাখণ্ডের মন্ত্রী আর কংগ্রেস নেতা নবপ্রভাত নির্বাচন কমিশনের কাছে উপনির্বাচন নিয়ে ধন্দ কাটানোর আবেদন জানান।