আজ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে তলব করা হয়েছিল ইডির তরফে। সেই মতো এদিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পৌঁছান রাহুল। আর এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিক্ষোভ প্রদর্শন জারি রাখে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। যদিও এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লি পুলিশের তরফে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। তবে ১৪৪ অমান্য করে কংগ্রেস বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ।
কংগ্রেসের দাবি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, হরিষ রাওয়াত, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, অধীর চৌধুরী, সচিন পাইলট, মল্লিকার্জুন খড়গে, কেসি বেণুগোপাল সহ তাবড় কংগ্রেস নেতাদের আটক করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন যে তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছে পুলিশ। এদিকে রণদীপ সিং সুরযেওয়ালা বিজেপিকে ‘নাথুরাম গোডসের বংশধর’ বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি কংগ্রেসকে দমানো যাবে না বলেও দাবি করেন সুরযোওয়ালা।
এদিকে এদিন কংগ্রেসের আটক হওয়া কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে তুঘলক রোড থানায় পৌংছান প্রিয়াঙ্কা গান্ধঈ নিজে। সেই সময় প্রিয়াঙ্কাকে থানায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। তখন ফের একবার পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় পুলিশের। পরে পুলিশ প্রিয়াঙ্কাকে থানায় ঢোকার অনুমতি দেয়। এদিকে কংগ্রেস নেতা পবন খেরা দাবি করেন, দিল্লির তুঘলক রোড থানার লকআফ ভরে গিয়েছে কংগ্রেস নেতায়। তাই তাঁদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। তবে সেই সময় তিনি বিদেশে থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। পরে নয়া সমন জারি করে ১৩ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয় রাহুল গান্ধীকে। প্রসঙ্গত, গত ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। তবে তিনি কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় সেদিন হাজিরা দিতে পারেননি। পরে সোনিয়াকেও নয়া সমন জারি করা হয় ইডির তরফে। সেই সমন জারির একদিন পরই হাসপাতালে ভরতি হন সোনিয়া।