পাকিস্তানের বিরোধী দলের সাংসদ সংসদে দাঁড়িয়ে জানান, অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দেওয়ার নেপথ্যে ছিল ভারত আক্রমণ করার ভয়। এই রহস্যের কথা সামনে আসতেই কংগ্রেসকে তুলোধোনা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। বৃহস্পতিবার পাক সাংসদের সেই ভিডিয়ো টুইটারে পোস্ট করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি লেখেন, ‘এবার আশা করি উনি (রাহুল গান্ধী) বিশ্বাস করবেন। কংগ্রেস তথা রাহুল গান্ধী ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতার বিশ্বাস করেন না। এই ভিডিয়ো তারই জবাব।’
ভারত যে পাকিস্তানের ঘরে ঢুকে মারবে, এই আশঙ্কায় তড়িঘড়ি বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দিয়েছিল পাকিস্তান। সংসদে এমনটাই জানান পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) নেতা সর্দার আয়াজ সাদিক। বৃহস্পতিবার সেই ভিডিয়োকেই হাতিয়ার করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি টুইটারে রাহুলকে তুলোধোনা করে লেখেন, ‘আপনার সবথেকে ভরসাযোগ্য দেশ পাকিস্তানও এবার হার মানল। এবার নিশ্চয়ই বিশ্বাস করবেন।’
এদিন টুইটারে তিনি লেখেন, ‘কংগ্রেস ভারতের কোনও কিছুকেই বিশ্বাস করে না। সে ভারতের সেনা হোক, সরকার হোক কিংবা ভারতীয় জনতা। তাই তাঁদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত দেশ পাকিস্তানের এই ভিডিয়োটা দিলাম। এবার আশা করি বিশ্বাস করবে। কংগ্রেস সবসময় প্রচার করে ভারতীয় সেনা দুর্বল। তাঁদের শক্তি নিয়ে মজা করে, তাঁদের বীরত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ভারত যাতে রাফাল না পায়, তার জন্য সবরকম চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসকে শাস্তি দিয়েছে ভারতের মানুষ।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে আকাশপথে ভারতকে আক্রমণ করে পাকিস্তান৷ জবাব দেয় ভারতও। পাকিস্তানের এফ–১৬ বিমানকে তাড়া করে নামান ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। যদিও সীমানা পেরিয়ে ঢুকে যাওয়ায় পাকিস্তান অভিনন্দনকে বন্দি করে পাকিস্তান৷ কূটনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করে অভিনন্দনকে ভারতে ফেরাতে বাধ্য হন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ এই বিষয়ে পাকিস্তানের এক নেতা জানান, ভারতের ভয়ে বর্তমানকে ফেরাতে বাধ্য হয়েছিল ইসলামাবাদ।