মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিউরাপ্পার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার পরের দিনই কর্নাটকের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার কর্নাটক বিধানসভায় শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করল বিরোধী কংগ্রেস। বিধানসভার ন্যূনতম ১০ শতাংশ সদস্যের সমর্থন পাওয়ায় সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন অধ্যক্ষ বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি।
কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকের পরে এ দিন সকালে বিরোধী দলনেতা সিদ্দারামাইয়া সাংবাদিক বৈঠকে জানান, সব বিষয়েই চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে রাজ্য সরকার। কোভিড চিকিৎসার জন্য সরঞ্জাম কেনার বিষয়েও দুর্নীতি হয়েছে। সরকারি চাকরিতে পদ পাইয়ে দেওয়া ও বদলি নিয়ে বিশাল ব্যবসা ফেঁদেছেন আধিকারিকরা। ইয়েদিউরাপ্পা ও তাঁর পরিবার শুধু টাকা রোজগারেই বেশি উৎসাহি। প্রশাসন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে।
পরে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তখনই আলোচনার জন্য আসন ছেড়ে দাঁড়িয়ে উঠে কংগ্রেস বিধায়করা দাবি জানালে তার প্রতিবাদ করে বিজেপি। তালিকায় থাকা কয়েকটি বিল পেশ করায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন বলে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা পরে হবে বলে জানান অধ্যক্ষও। উল্লেখ্য, শনিবারই শেষ হতে চলেছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী আর অশোক বলেন, কংগ্রেসের আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব আদতে রাজনৈতিক চমক। তাঁর দাবি, প্রস্তাব সমর্থনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক কংগ্রেসের হাতে নেই। প্পরস্তাব নিয়ে রা কাড়েনি জেডিএস-ও।
২২৪ আসন বিশিষ্ট কর্নাটক বিধানসভায় বিজেপির দখলে রয়েছে ১১৭টি আসন, কংগ্রেসের ৬৭টি, জেডিএস-এর ৩৩টি এবং তিনটি আসন নির্দলদের দখলে। বৃহস্পতিবার সিদ্দারামাইয়া ঘনিষ্ঠ কংগ্রেস বিধায়ক বি নারায়ণ রাও কোভিড আক্রান্ত হয়ে বেঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেলে একটি আসন শূন্য হয়ে পড়ে।