বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছে। উপাসনাস্থল আইন ১৯৯১ এর বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তাতে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে কংগ্রেস।
১৯৯১ সালের এই আইন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওয়ের নেতৃত্বে থাকা কংগ্রেস সরকার এনেছিল। ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ধর্মীয় স্থানগুলি যেমন ছিল তেমনই যাতে থাকে সেকারণেই এই আইন আনা হয়েছিল।
রামজন্মভূমি আন্দোলনের সময় এই আইন তৈরি করা হয়েছিল। সেই সময় অযোধ্য়ায় বিতর্কিত ধর্মীয় স্থান ভেঙে ফেলেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে গত বছর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল এই আইনের মেয়াদ সংক্রান্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত কোনও কাঠামোর ধর্মীয় চরিত্র সংক্রান্ত নতুন করে কোনও মামলা গ্রহণ করা হবে না।
তাৎপর্যপূর্ণ সেই রায়ে বলা হয়েছিল সমস্ত কোর্টকে বলা হয়েছিল এই ধর্মীয় কাঠামো সংক্রান্ত যে মামলা চলছে তা নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন রায়, চূড়ান্ত রায়, সমীক্ষার জন্য় নির্দেশ ইত্যাদি দেবেন না।
সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়েছিল, ১০টি মসজিদ সংক্রান্ত ১৮টা মামলা বকেয়া রয়েছে। এদিকে Places of Worship( Special provisions) Act 1991 -কে চ্যালেঞ্জ করে যে পিটিশন হয়েছে তার জবাবে চার সপ্তাহের মধ্য়ে হলফনামা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই আইনের কঠোরভাবে প্রয়োগের পক্ষে মতামত দেওয়া হচ্ছে। কংগ্রেসের নেতা কে সি বেনুগোপাল এই পিটিশন দাখিল করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকার সময় বর্তমান বিরোধী দল এই আইন পাশ করেছিল।
এই পিটিশনে কংগ্রেস জানিয়েছে, ভারতের সমাজের ধর্মনিরপেক্ষতাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই আইন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আইনের পরিবর্তন করা হলে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার চরিত্রে ধাক্কা লাগতে পারে। কংগ্রেস জানিয়েছে, এই আইন পাশ করা হয়েছিল কারণ এটা ছিল দেশের মানুষের রায়।
এদিকে এর আগে Places of Worship Act নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস।সেই সঙ্গেই অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য খলিদ রাশিদ ফারাঙ্গি মাহালি জানিয়েছেন, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত। গোটা রাজ্য নয়, গোটা দেশের কাছে এটা স্বস্তির। তাদের উপাসনাস্থলের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বিশেষত মুসলিমরা অত্যন্ত অস্থির ছিলেন। আমাদের আশা আদালত চূড়ান্ত রায়ে এই আইন প্রয়োগে কঠোর হবে। আগামীতে আর কোনও বিতর্ক থাকবে না। এটা আগামীতে দেশের স্বার্থে খুব দরকার।