এবার সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে সামনে পেয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। যা সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বহরমপুরের সাংসদ যে এভাবে জ্বলে উঠবেন তা কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। পারেননি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও। মুখে মাস্ক পরে কাঁধে শাল নিয়ে সংসদে বসে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে দাঁড়িয়ে অধীররঞ্জন চৌধুরী সরাসরি নিশানা করছেন নরেন্দ্র মোদীকেই।
ঠিক কী বলেছেন অধীর চৌধুরী? শুক্রবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে বারাণসীতে গিয়ে মুসলিমদের সঙ্গে ঔরঙ্গজ়েবের তুলনার নিন্দা করেছেন অধীর। চিনের অনুপ্রবেশ নিয়ে ‘মৌন’ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর বলেছেন, ‘কোটি কোটি টাকার গাড়ি আর বিমান চড়লে আম আদমির কথা বুঝবেন কী করে? জানবেন কী করে বেকারদের জ্বালা। আপনি তো সংসদে আসেনই না। আজ এসে ধন্য করেছেন! তাই আজ শুনে যান মানুষের কী অবস্থা।’
এই মুখোমুখি আক্রমণে হতচকিত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী। এভাবে কোনও সাংসদ তাঁকে আক্রমণ করবেন তা তিনি ভাবতেই পারেননি। এরপরই অধীরবাবু তাঁকে বলেন, ‘দেশের কী হাল শুনুন। আপনাকে খুশি করতে বিজেপির সাংসদরা সারাক্ষণ মোদী মোদী করে যাচ্ছেন। আপনি নিজের জন্য ১৫ কোটি টাকার গাড়ি কেনেন, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বিমান কেনেন। তাই গরীব, বেকার মানুষের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন না।’
মরেন্দ্র মোদী তখন এক দৃষ্টিতে অধীরের দিকে তাকিয়ে সব শুনছেন। মুখে কোন কথা বলছেন না। আর অধীরবাবু তাঁকে বলছেন, ‘ওরা হয়তো ভাবছেন আপনার নাম করলে পুরষ্কার পাবেন। কিন্তু মোদী নাম ছেড়ে যদি তাঁরা সংসদে প্রকৃত সমস্যার কথা বলতেন তাহলে দেশ বেঁচে যেত। অমর জওয়ান জ্যোতি সরিয়ে ইন্দিরা গান্ধীকে ভুলিয়ে দিতে চাইছেন। কিন্তু মনে রাখবেন তাঁর নাম লেখা রয়েছে মানুষের হৃদয়ে। নেতাজির প্রকৃত ভাবনাকে গুরুত্ব দিন। সংবিধানের শুরুতে লেখা উই শব্দটিকে মর্যাদা দিন। আমার অনুরোধ ধর্মের চশমা খুলে প্রকৃত ভারতকে দেখতে শিখুন।’ অধীরের কটাক্ষের উত্তর সংসদে নিজের জবাবী বক্তৃতার জন্য তুলে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী।