বাংলার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সংসদে ঝড় তুললেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। এখানে দুটি ইস্যু তুলে ধরেন তিনি। এক, আনিস খান হত্যাকাণ্ড। দুই, ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যা। এই দুটি ঘটনাকে সামনে রেখে অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলায় অরাজকতা চলছে।’ এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে টেবিল চাপড়ে সমর্থন জানাতে দেখা গেল কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে।
ঠিক কী বলেছেন অধীর চৌধুরী? এদিন সংসদে বহরমপুরের সাংসদ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। ঝালদায় আমি একটি হৃদয় বিদারক ঘটনার সাক্ষী হয়েছি। কংগ্রেসের টিকিটে জেতা পুরসভার কাউন্সিলর তপন কান্দুকে হত্যা করা হয়েছে। ঝালদায় কংগ্রেস পুরবোর্ড তৈরির কাজে অনেকটাই এগিয়ে ছিল। কিন্তু শাসকদলের একটি অংশ পুলিশের সাহায্য নিয়ে তপনকে হত্যা করেছে।’ এই বক্তব্য রাখতেই পাল্টা স্লোগান দেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। ‘খুনি অধীর, গুণ্ডা অধীর’ স্লোগান দেন তাঁরা। তাতে শোরগোল পড়ে যায়।
এই প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি সংসদে সোচ্চার হল কংগ্রেস। এতদিন কক্ষ সমন্বয় করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে। বাংলায় কোনও নির্বাচনেই জিততে পারেনি কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে অকংগ্রেসি ব্লক গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে রাজ্যসভায়। যাতে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করা যায়। তারপরই এই সওয়াল বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু এবার অধীরকে লোকসভায় বলতে শোনা গেল, ‘বাংলায় নির্বাচন চলাকালীন এবং নির্বাচনের পরে খুন, রাহাজানি, হিংসা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে। আনিসকে পুলিশ খুন করেছে’। এমনকী মঙ্গলবার কাউন্সিলরের হত্যার ঘটনায় আদালতের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তও দাবি করেছেন অধীর। এবার আনিস ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন অধীর চৌধুরী।