রাহুল গান্ধী ‘ভারতের খারাপ পূর্বাভাসের দূত’ পরিণত হচ্ছেন বলে লোকসভায় কটাক্ষ করেছিলেন। সেজন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনলেন কংগ্রেস সাংসদ টিএম প্রতাপন।
শনিবার লোকসভায় বাজেট বিতর্কের জবাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রীতিমতো আগ্রাসী মনোভাব নেন নির্মলা। বিশেষত তাঁর নিশানায় ছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সীতারামন অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ইস্যুতে ভুয়ো ধারণা তৈরি করছেন রাহুল। সাংবিধানিক কাজকর্মেরও লাগাতার অবমাননা করে যাচ্ছেন। কংগ্রেসকে তোপ দেগে নির্মলা বলেন, 'আমরা দোষ চাপাব, গালিগালাজ করব, কিন্তু সংসদীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জবাব দেওয়ার সময় ওরা (কংগ্রেস) শুধু চেচামেঁচি করবে এবং ওয়াক-আউট করবে।'
গত বৃহস্পতিবার বাজেট বিতর্কের সময় বাজেট নিয়ে কথা বলতে চাননি রাহুল। শুধুমাত্র কৃষি আইন নিয়ে কথা বলেছিলেন। তা নিয়েও আক্রমণ শানান সীতারামন। তিনি বলেন, 'উনি সম্ভবত ভারতের খারাপ পূর্বাভাসের দূত পরিণত হচ্ছেন। যে বিরোধীরা সরকারকে কাঠগড়ায় রেখে প্রশ্ন করেন, আজ তাঁরা খারাপ পূর্বাভাসের দূতের নেতৃত্বে আছেন।' একাধিক ‘খারাপ পূর্বাভাসের দূত’-এর শব্দ ব্যবহার করেন তিনি।
সেই ‘খারাপ পূর্বাভাসের দূত’-এর শব্দ ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব জমা দিয়েছে কংগ্রেস। লোকসভার বাইরে কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, ‘লোকসভায় (রাহুল গান্ধীকে নিয়ে) অর্থমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এরকম অসংসদীয় কাজে তাঁর যুক্ত হওয়া একেবারেই উচিত নয়। তৎক্ষণাৎ আমরা সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি।’ শনিবার অবশ্য রাহুলকে সীতারামনের জবাবের সময় লোকসভায় দেখা যায়নি।
তবে সীতারামনের আগে শুক্রবার রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনেন তিন বিজেপি সাংসদ। তাঁরা দাবি করেন, স্পিকারের অনুমতি না নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে নীরবতা পালন করে সংসদের লোকসভার অবমাননা করেছেন রাহুল। কংগ্রেস সাংসদের সেই দু'মিনিটের নীরবতা পাললের আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকের সাংসদরাও।