মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনে দুষ্কৃতীর হাতে ছুরিবিদ্ধ হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খান। এনিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে অভিনয় জগত থেকে শুরু করে দেশের রাজনীতিতে। এর তীব্র সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালও বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এবার এনিয়ে কেজরিওয়ালকে পালটা আক্রমণ করলেন উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ। তিনি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুসলিম ভোটারদের আকৃষ্ট করার জন্য সইফ আলি খানের উপর হামলার বিষয়টি উল্লেখ করার জন্য অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কটাক্ষ করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘গুজরাটের জেলে বসে এক গ্যাংস্টার ভয়ডরহীনভাবে সক্রিয়’, কেজরির ইঙ্গিত কার দিকে?
বৃহস্পতিবার ছুরিকাঘাতের পরেই সইফ আলি খানকে ভর্তি করা হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন অভিনেতা। এই হামলার বিষয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে কেজরিওয়াল বলেছিলেন,‘যখন বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন সরকার সইফ আলি খানের মতো সেলিব্রিটিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে না, তখন সাধারণ মানুষ আর কী আশা করতে পারে!’ তিনি আরও বলেছিলেন, এই ধরনের হামলা নতুন নয়। অভিনেতা সলমন খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানো হয়েছিল এবং বিজেপি জোটের শরিক বাবা সিদ্দিকের হত্যা। প্রভৃতি ঘটনার কথা উল্লেখ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এবিষয়ে কেজরিওয়ালকে আক্রমণ করে কংগ্রেস সাংসদ ইমরান মাসুদ বলেছেন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে কেজরিওয়াল ১০ বছরে দিল্লির মুসলমানদের নিয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি। অথচ তিনি মুম্বইয়ের মুসলমানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। দিল্লির বাইরের মুসলমানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘প্রশ্ন উঠছে তা হল আপনি (কেজরিওয়াল) মুম্বইয়ের আইনশৃঙ্খলার কথা বলবেন আর দিল্লির আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলবেন না? আজ আপনি সইফের নাম নিয়ে দিল্লির মুসলিম ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, যখন জাহাঙ্গীরপুরীতে হিংসা হয়েছিল তখন আপনি চুপ ছিলেন। একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি।’
ইমরান কেজরিওয়ালকে একথা মনে করিয়ে বলেন, ‘আপনি তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। আপনি যদি জাহাঙ্গীরপুরীতে যেতেন, তাহলে এত ক্ষতি হতো না। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় যখন সিএএ, এনআরসি-নিয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালিয়েছিল, তখন আপনি কিছুই বলেননি।’
আক্রমণ অব্যাহত রেখে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘পবিত্র কোরানের অপবিত্রতার ঘটনায় একজন বিধায়ক নরেশ যাদবকে যে শাস্তি দেওয়া হয়েছে তা একটি গুরুতর বিষয়। যারা এই ধরনের বিভেদমূলক কাজ করে তাদের দলে রাখা কীভাবে সমর্থন করে? দলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কি?’ তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কংগ্রেস সাংসদ। উল্লেখ্য দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সম্পন্ন হবে এবং ফলাফল ঘোষণা হবে ৮ ফেব্রুয়ারি।