প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস এমপি মানিকাম টেগোর। ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্য়াল প্রাইসিং অথরিটির সাম্প্রতিকতম একটি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিঠি লিখেছেন তিনি। বহুল প্রচলিত তিনটি ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই দাম বৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে সেটা দেখার জন্য একটি স্বাধীন রিউিউ কমিটি তৈরির আবেদন তিনি করেছেন।
সেই চিঠিতে কংগ্রেস এমপি জানিয়েছেন, ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির সাম্প্রতিকতম সিদ্ধান্তে আমি উদ্বেগ প্রকাশ করছি। অন্তত আটটি অত্যন্ত বহুল প্রচলিত ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি লিখেছেন, যখন আমি বুঝতে পারলাম যে সরকার জনস্বার্থ আর অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে এই দাম বৃদ্ধি করছে তখন আমি বুঝতে পারলাম যে এই সিদ্ধান্তের পেছনে কী প্রভাব পড়তে পারে সেটা বলা দরকার।
এই দাম বৃদ্ধির জেরে হাঁপানি, টিবি বাইপোলার ডিসঅর্ডার, গ্লুকোমাতে যারা আক্রান্ত তাঁরা মহা সমস্য়ায় পড়ে যাবেন। বহু পরিবার ইতিমধ্য়েই এই ওষুধের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যায় পড়ে গিয়েছেন। এর জেরে সাধারণ রোগীদের উপর বোঝা চাপতে পারে।
গত ২৫শে অক্টোবর তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বলতে ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন সেটা একটু বুঝিয়ে বলুন। একটা স্বাধীন রিভিউ কমিটি তৈরি করুন। তারা গোটা পরিস্থিতিটা খতিয়ে দেখবে। প্রসঙ্গত এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও এই ধরনের চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত ন্যাশানাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি ১৪ অক্টোবর একটি গেজেট নোটিফিকেশন করেছিল। সেখানে টিবি, অ্যাসমা, থ্যালাসেমিয়া, মনোরোগ,চোখের সমস্যা, বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ সেই সমস্ত রোগের ওষুধের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে NPPA এই ওষুধের দাম পর্যালোচনা করেছিল। তার মধ্য়ে ডায়াবেটিস, রক্তচাপের ওষুধের বিষয়গুলিও রয়েছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় লিখেছিলেন, এই ওষুধের দাম বৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের উপর বাড়তি বোঝা চাপবে। তাঁরা মারাত্মক সমস্যায় পড়ে যাবেন। সেই সঙ্গেই মুখ্য়মন্ত্রী লিখেছেন এই ওষুধের দাম বৃদ্ধির জেরে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যের উপরেও বাড়তি বোঝা চাপবে। কারণ এই রাজ্যে রোগীদের বিনা পয়সায় ওষুধ দেওয়া হয়। আপনি আশা করি এই বিষয়ে একমত হবেন যে এই যে বাড়তি বোঝা তার জেরে রাজ্য়ের পাশাপাশি দেশের উপরেও সমস্যা তৈরি হবে।
মমতা লিখেছিলেন, একে তো সাধারণ জিনিসের দাম বাড়ছে। তার উপর যদি জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হয়ে যাবে। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি যাতে ওষুধের দাম বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত সেটা প্রত্যাহার করা হয়। মানুষের কল্যাণ আমাদের মূল লক্ষ্য। লিখেছেন মমতা। এদিকে এবার প্রধানমন্ত্রী কী পদক্ষেপ নেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ।