‘মিশন ২০২৪’ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জোট হবে কিনা তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে আরবসাগরের তীরবর্তী রাজ্য গোয়ায়। তার আগে আজ কংগ্রেসের ঘর ভেঙে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নাফিসা আলি কংগ্রেস ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ৩০ অক্টোবর গোয়ায় যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। এই বিষয়ে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি গিরিশ চোদনকর রাহুল গান্ধীর সফর সম্পর্কে জানিয়েছেন।
আজ গোয়ায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায়, কংগ্রেসের দ্বারা বিজেপিকে ঠেকানো সম্ভব নয়। আর মানুষ বিজেপিকে কালো তালিকাভুক্ত করবে। গোয়া বিধানসভার ৪০ জন সদস্য। এখানে বিজেপির ১৭ জন বিধায়ক রয়েছে এবং মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টি (এমজিপি), গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির (জিএফপি) বিজয় সরদেশাই এবং তিনজন নির্দলের বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে বিজেপির প্রতি। আর কংগ্রেসের ১৫ জন বিধায়ক রয়েছে।
এখন এখানে বিজেপি শাসন করলেও ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় আসবেতৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ গোয়ায় দাঁড়িতে ‘নতুন ভোর’–এর স্বপ্ন দেখালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘তৃণমূল কংগ্রেস মরে যাবে কিন্তু আপস করবে না। আমাদেরকে একটা সুযোগ দিন। আমরা নতুন সকাল আনব। আমি কেন গোয়ায় এসেছি অনেকে প্রশ্ন করছেন। আমি ভারতীয়। আমি যেখানে খুশি যেতে পারি। পশ্চিমবঙ্গ আমার মাতৃভূমি হলে, গোয়াও আমার মাতৃভূমি। আসলে ওরা ভয় পেয়েছে।’
এই মন্তব্য বিজেপি–কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই দুই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়া সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছে। তারই জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। গোয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পা রাখতেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ঠিক এমন মুহূর্তে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সেখানে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তৈরি করবেন নির্বাচনের স্ট্র্যাটেজি। আগামী ৩০ অক্টোবর তিনি গোয়ায় আসছেন।