আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের হঠাৎ বদলি ইস্যুতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে এসে দাঁড়াল কংগ্রেস হাইকমান্ড। এখন রাজ্য–রাজনীতিতে আলাপনবাবুর বদলি ইস্যুতে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে পথে গিয়েছে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে চিঠি লিখতে চলেছেন। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পাশে দাঁড়াল কংগ্রেস। এমনকী মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকারক’ এবং ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী’ বলে উল্লেখ করে বিবৃতি দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। এই ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধী নিজের দূতকে নামিয়ে দিয়ে নতুন সমীকরণেরবার্তা দিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।
আবার এভাবে তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়ে রাজ্য কংগ্রেসকে বার্তা দেওয়া হল বলেও মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এই ঘটনায় গোটা দেশ হতবাক। মাত্র চারদিন আগে মোদী সরকারই মুখ্যসচিবের মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়েছিল। সেদিক থেকে দেখলে এটা দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছু নয়। এই সিদ্ধান্ত ভারতের সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর চরম আঘাত।’
এখানেই শেষ নয়, এরপর টুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশও। মুখ্যসচিবকে বদল সিদ্ধান্তে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে পরাজয় হজম করতে পারছে না নয়াদিল্লি। যেনতেন প্রকারে রাজ্যের প্রশাসনকে বিব্রত করতে চাইছে।’ তবে কংগ্রেস সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করা এই ইস্যুটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। সম্প্রতি বীরাপ্পা মইলি বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা বলেছিলেন। সমালোচনা করেছিলেন অধীর চৌধুরীর। সেখানে আজকের এই সমর্থন বীরাপ্পার পথকেই সিলমোহর দিল বলে মনে করছেন অনেকে।