গতকালই জি২০ সম্মেলনের নৈশভোজে মুখোমুখি আসেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দু’জনকেই করমর্দন করতে দেখা যায়। হাসি মুখে সৌজন্য বিনিময় করতেও দেখা যায় দুই প্রতিবেশী দেশের প্রধানকে। আর সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো এখন কংগ্রেসের হাতিয়ার। প্রায় আড়াই বছর আগে গালওয়ানে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ শহিদের নাম স্মরণ করে মোদীকে খোঁচা দিল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘর্ষের পর এই প্রথম মুখোমুখি হয়ে করমর্দন করতে দেখা গেল মোদী এবং জিনপিংকে। আর সেই ঘটনার ভিডিয়ো টুইট করে কংগ্রেস। সঙ্গে গালওয়ানে শহিদ হওয়া ২০ জন জওয়ানের নামও লেখে ক্যাপশনে। উল্লেখ্য, গতকাল ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির বাসভবনে জি২০-ভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই নৈশভোজের ভিডিয়ো ইউটিউবে প্রকাশ করেছিল ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতির সচিবালয়। সেখানে দেখা যায়, মোদী এবং জিনপিং বাটিক শার্ট পরে আছেন। একে অপরকে দেখে হাসিমুখে সৌজন্য বিনিময় করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। এরপর বেশ কয়েক মিনিট দুই নেতাকে কথা বলতেও দেখা গিয়েছিল।
এর আগে শেষবার মোদী এবং জিনপিং একই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন উজবেকিস্তানের সমকন্দে। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গনাইজেশনের সম্মেলনে অবশ্য একে অপরকে এড়িয়ে চলেছিলেন জিনপিং এবং মোদী। তবে জি২০ সম্মেলনে দুই রাষ্ট্রনেতা মুখোমুখি হন। যদিও দুই নেতার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের কোনও সম্ভাবনা নেই বালিতে। তবে মোদী এবং জিনপিংকে একই ফ্রেমে পেয়ে আক্রমণ শানাতে পিছ পা হয়নি হাত শিবির। গালওয়ান পরবর্তী চিন বিরোধী আবেগকে কাজে লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ‘নীরব আক্রমণ’ শানাল কংগ্রেস।
এদিকে কয়েকদিন আগেই চিনের কমিউনিস্ট পার্টি সম্মেলনে দেখানো হয়েছিল গালওয়ান সংঘর্ষের ভিডিয়ো। শুধু তাই নয়, কমিউনিস্ট পার্টির ডেলিগেটদের মধ্যে হাজির ছিলেন গালওয়ান সংঘর্ষে জখম হওয়া এক চিনা কমান্ডরও। তাঁকে বীরের মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির তরফে। প্রসঙ্গত, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গালওয়ানের ঘটনাকে নিজের শক্তিপ্রদর্শনের অন্যতম হাতিয়ার করেছেন ঘরোয়া রাজনীতিতে। এদিকে মোদীও গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিন বিরোধী জাতীয়তাবাদী আবেগকে কাজে লাগিয়েছেন ঘরোয়া রাজনীতিতে। এই আবহে মোদীর বিরুদ্ধে সেই হাতিয়ারকেই কাজে লাগিয়ে আক্রমণ শানাতে ভোলেনি কংগ্রেস।