কীভাবে মেরামতির পর নতুন করে খোলার ৫ থেকে ৬ দিন পরই সেতুটি ভেঙে পড়ে? এই প্রশ্ন তুলেও মৌরবি কাণ্ডকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার বার্তা দিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে। পাশাপাশি তিনি জানান, কংগ্রেস নেতারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করছে কংগ্রেস কর্মীরা। এদিকে আপাতত এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি না করার বার্তা দিলেও আসন্ন গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে মৌরবি কাণ্ডকে যে হাতিয়ার করা হবে না, এমন ‘আশ্বাস’ দেননি খড়গে। তিনি বলেন, ‘আগে তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসুক। আমরে সেই বিষয়টি দেখব।’
কংগ্রেস সভাপতি এই বিষয়ে বলেন, ‘ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সুপ্রিম বা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত হওয়া উচিত। কীভাবে উদ্বোধনের ৫-৬ দিন পরই সেতুটি ভেঙে পড়ে! কে সেখানে এত লোককে ঢুকতে অনুমতি দিয়েছে? ক্ষতিপূরণ সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদান করা উচিত ক্ষতিগ্রস্থদের।’
এদিকে খড়গে জানান, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট মৌরবি পরিদর্শনে যাবেন। কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কংগ্রেস নেতারা। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও সেখানে যাচ্ছেন। আমরা সাহায্য করার চেষ্টা করব। আমরা এতে রাজনীতি করছি না এবং এখনই কাউকে দোষ দিতে চাই না।’
জানা গিয়েছে, অজন্তা ঘড়ির প্রস্তুতকারক ওরেভা গ্রুপকে এই ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল মৌরবি পুরসভা। মৌরবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সন্দীপ সিং ঝালা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ বছরের জন্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। চলতি বছরের মার্চ মাসে এটি সংস্কারের জন্য জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খোলার জন্য কোম্পানিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।’ পুর আধিকারিক আরও বলেন, সংস্কার কাজে কোম্পানিটি কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।