জল্পনা আগে থেকেই ছিল। সেই জল্পনাকে সত্যি প্রমাণিত করে অশোক গেহলট জানিয়ে দিলেন যে কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য তিনি নির্বাচনে লড়তে চলেছেন। আজ সকালে সংবাদমাধ্যমকে অশোক গেহলট বলেন, ‘এটা ঠিক হয়েছে যে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব (কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য)। আমি শীঘ্রই তারিখ ঠিক করব (তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার)। দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে আমি মনে করি বিরোধী দলের শক্তিশালী হওয়া প্রয়োজন।’
গত পরশু দিল্লি এসে পৌঁছেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। দিল্লিতে নেমেই শশী থারুরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রসঙ্গে অশোক গেহলট বলেছিলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভালো।’ গেহলট আরও বলেন, ‘দল এবং হাইকমান্ড আমাকে সব দিয়েছে। বিগত ৪০-৫০ বছর আমি বিভিন্ন পদে থেকেছি। আমি খুব সৌভাগ্যবান যে দেশজুড়ে কংগ্রেস কর্মীদের ভালোবাসা পেয়েছি আমি। তাই তাঁরা যদি আমাকে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বলে আমি না করতে পারব না। আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করব। আমাকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল। আপাতত আমি সেই দায়িত্ব সামলাচ্ছি।’ তাঁর এই বক্তব্যের পরই প্রায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন।
অশোক গেহলট আরও বলেছিলেন, ‘আমি যদি নিজের মর্জিতে কিছু করতে পারতাম তাহলে আমি কোনও পদেই থাকতাম না। বরং আমি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে ভারত জোড়ো পদযাত্রায় অংশ নিতাম। দেশের বর্তমান পরিস্তিতিতে সংবিধান ধ্বংস করা হচ্ছে। দেশে বিপদের মুখে।’ প্রসঙ্গত, গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবেই পরিচিত অশোক গেহলট। অপরদিকে শশী থারুর ‘বিদ্রোহী’ জি-২৩ গোষ্ঠীর সদস্য। তবে সনিয়া গান্ধী দুই নেতার সঙ্গে সাক্ষাত করেই নাকি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে কোনও দিকে ‘ঝুঁকে থাকবেন না।’