আগেও একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। তবে তেমন কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে সভাপতি পদের জন্য নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল কংগ্রেস। রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের পর জানানো হয়, আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য নির্বাচন হতে চলেছে। দু'দিন পরে ভোটগণনা হবে।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর শতাব্দীপ্রাচীন দলের সভাপতিত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। তিন বছর ধরে ‘সাবস্টিটিউট’ হিসেবে কাজ চালাচ্ছিলেন সনিয়া। নানা ছুতোয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হচ্ছিল না। অবশেষে রবিবার ওয়ার্কিং কমিটির পর কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুজোর পর ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য় ভোটগ্রহণ হতে চলেছে।
কংগ্রেস নেতা কেসি বেণুগোপাল বলেন, ‘সনিয়া গান্ধীর পৌরহিত্যে বৈঠকে বসেছিল কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি এবং ভোটের চূড়ান্ত নির্ঘণ্টে অনুমোদন দিয়েছে। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে। আগামী ১৭ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। ভোটগণনা হবে আগামী ১৯ অক্টোবর।’
এমনিতে রাহুলের সভাপতিত্ব নিয়ে কংগ্রেসের একটি অংশের তরফে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল। সম্প্রতি কংগ্রেস ছাড়ার সময়ও কড়া ভাষায় রাহুলের সমালোচনা করেন গুলাম নবি আজাদ। কী কী বলেছিলেন (সদ্য) প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা, তা দেখে নিন -
- গুলাম অভিযোগ করেছিলেন, রাহুল কংগ্রেসের সভাপতি (২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ছিলেন) হওয়ার পর সব বর্ষীয়ান নেতাদের কোণঠাসা করে দেওয়া হয়েছিল এবং 'একদল অনভিজ্ঞ চাপরাশিরা (পড়ুন রাহুলের গুণগান করা নেতারা) দলের কাজকর্ম চালানো শুরু করেছিলেন।'
- কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা জানিয়েছিলেন, 'ভারত জোড়ো যাত্রার' আগে ‘কংগ্রেস জোড়ো যাত্রা’ করা উচিত। কড়া ভাষায় গুলাম দাবি করেন, রাহুলের তল্পিবাহকদের অধীনে ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে যায় কংগ্রেসের। ভারতের অধিকারের লড়াইয়ের ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে। 'তাই ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর আগে দেশজুড়ে কংগ্রেস নেতৃত্বের কংগ্রেস জোড়ো কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত।'
- ইউপিএ আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া অর্ডিন্যান্স যেভাবে ছিঁড়ে দিয়েছিলেন রাহুল, তাতে কংগ্রেসের নেতার 'অপরিণতবোধ' ফুটে উঠেছিল। গুলামের কথায়, 'ওই শিশুসুলভ আচরণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের কর্তৃত্ব সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিল। অন্য কিছুর তুলনায় ওই একটা কাজই ইউপিএ সরকারের পরাজয়ের অন্যতম কারণ ছিল।'