সোমবারই প্রকাশ্যে এসেছে অরুণাচলপ্রদেশে ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষের খবর। এর প্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দাগল কংগ্রেস। সংসদে এই সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে যে মোদী সরকার সীমান্ত ইস্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে, যার কারণে চিন ক্রমেই আগ্রাসী হয়ে উঠছে। এদিকে এই সংঘর্ষ প্রসঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির জাতীয় আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করে লেখেন, ‘আমাদের জওয়ানরা দেশের গর্ব। আমি তাঁদের সাহসিকতাকে সেলাম জানাই এবং জখম জওয়ানদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি।’
এদিকে এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে বলেন, ‘আবারও আমাদের ভারতীয় সৈন্যদের উসকানি দিয়েছে চিনারা। আমাদের জওয়ানরা দৃঢ়ভাবে লড়াই করেছেন এবং তাদের কয়েকজন জখমও হয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে আমরা দেশের সঙ্গে আছি। এটা নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে চাই না। চিনা সীমালঙ্ঘন নিয়ে আসত তথ্য প্রকাশ করা উচিৎ মোদী সরকারের। পাশাপাশি, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখার কাছে চিন যেসব নির্মাণ কাজ করেছে, সেই বিষয়ে সৎ হওয়া উচিত মোদী সরকারের। এ বিষয়ে সংসদে আলোচনা করে সরকারের উচিৎ জাতির আস্থা অর্জন করা। আমরা আমাদের সৈন্যদের মূল্য এবং আত্মত্যাগের জন্য চিরকাল ঋণী থাকব।’
এদিকে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর বীরত্বে আমরা গর্বিত। সীমান্তে চিনের পদক্ষেপ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। গত দুই বছর ধরে আমরা বারবার সরকারকে জাগানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু মোদী সরকার শুধুমাত্র নিজেদের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি বাঁচাতে বিষয়টি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ কারণে চিনের সাহস বাড়ছে।’
প্রসঙ্গত, জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৩০০ সৈন্যকে নিয়ে তাওয়াঙের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে এসেছিল চিন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচলপ্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সংঘাতে জড়ায় ভারতীয় ও চিনা সেনা। সংঘাতের জেরে কয়েকজন ভারতীয় সেনা এবং চিনা সেনার কয়েকজন আহত হয়েছেন। ভারতের তুলনায় চিনের বাহিনীতে আহতের সংখ্যা অনেক বেশি। সূত্রের খবর, সীমান্তে ভারতের প্রস্তুতি দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল চিন। এদিকে শুক্রবারের সংঘাতের ঘটনা ভারতের যে জওয়ানরা আহত হয়েছেন, তাঁদের গুয়াহাটি সামরিক হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।