২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে আজ নয়া ‘অধিনায়ক’ বাছা হবে। ঘরের এই লড়াইতে শশী থারুরের থেকে এগিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গেই। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাল ছাড়তে নারা শশী থারুরও। ১৩০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাসে কংগ্রেসে আজও পর্যন্ত ৪০ জন সভাপতি হয়েছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে যদি দলের সভাপতি নির্বাচিত হন, তিনি দ্বিতীয় দলিত নেতা হবেন যিনি এই পদে বসবেন।
এর আগে ২০০০ সালে শেষবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য। সেবার জগজীবন রামকে হারিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন সনিয়া গান্ধী। এরপর থেকে পরবর্তী দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কংগ্রেস সভাপতি থেকেছেন কোনও এক গান্ধী। তবে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই ধারাবাহিকতা ভাঙতে চলেছে। এই আবহে রাজনৈতিক মহলে নির্বাচন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে। তবে সবাই প্রায় মেনে নিয়েছেন নির্বাচনে মল্লিকার্জুনেরই পাল্লা ভারী। এই আবহে নির্বাচন শুরুর কয়েকঘণ্টা আগে খাড়গে শিবিরকে ঘুরপথে নিশানা করেছেন থারুর। তাঁর দাবি, সনিয়া গান্ধী নাকি খাড়গেকেই সভাপতি দেখতে চান একথা বলে তাঁর অনুগামীরা সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। দলের নেতা-কর্মীদের হৃদয়ের ডাকে সাড়া দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শশী বলেন, ‘শেষে যেন কংগ্রেসের জয় হয়।’
এদিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করলেও কংগ্রেসের রাশ গান্ধীর হাতেই থাকবে বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। গান্ধীদেরকে সঙ্গে নিয়েই নতুন সভাপতিকে দল পরিচালনার কাজ করতে হবে। এই আবহে নির্বাচনের কয়েক ঘণ্টা আগে মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘গান্ধীরা এই দেশের জন্য ভালো করেছে, এবং তাঁদের পরামর্শে দল উপকৃত হবে। তাই আমি অবশ্যই তাঁদের পরামর্শ এবং সমর্থন চাইব। এতে লজ্জার কিছু নেই। আপনাদের (মিডিয়া) পরামর্শ থেকে যদি দল উপকৃত হয়, আমি তাও গ্রহণ করব। গান্ধীরা এই দলের জন্য কাজ করেছেন এবং তাঁদের পরামর্শ নেওয়া আমার কর্তব্য।’