মহারাষ্ট্রের ফলাফল হজম হচ্ছে না বিরোধী কংগ্রেস, উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ারদের। এই আবহে উদ্ধবের দলের নেতা সঞ্জয় রাউত ফলাফল মেনে নিতেই চাননি। আর এবার মহারাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। এই নিয়ে কংগ্রেস নেতার পবন খেরার প্রশ্ন, 'দেবেন্দ্র ফড়ণবীস কি নরেন্দ্র মোদীর থেকেও বেশি জনপ্রিয়? নাকি এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছ?' উল্লেখ্য, গতকাল এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে পবন খেরা একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন। নিজের সেই বক্তব্যকেই পোস্ট করে আজ ক্যাপশনে পবন লেখেন, 'মাত্র ৫ মাস আগে যখন মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য তাঁর নামে বিজেপি লড়াই করেছিল তখন তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল মহারাষ্ট্র। আর এখন একই দল ১৪৮টির মধ্যে ১৩২টি আসন পায়। মোদীর চেয়ে ফড়ণবীস কি বেশি জনপ্রিয়? নাকি নির্বাচনী প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ?'
এর আগে গতকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পবন বলেছিলেন, 'মহারাষ্ট্রে মোদীজির নামে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল, তাতে হেরেছে বিজেপি। একই রাজ্য ৪-৫ মাসের মধ্যে একই বিজেপিকে ১৪৮টির মধ্যে ১৩২টি আসন দেয়! এটা কি ধরনের স্ট্রাইক রেট? ...এই স্ট্রাইক রেট কি সম্ভব? গণতন্ত্র আমাদের চিন্তার বিষয়। নির্বাচনী স্বচ্ছতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। বিজেপি কি প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া পালটে দিল? আমরা ক্রমাগত অভিযোগ করেছি। জয়রাম রমেশ অভিযোগ করেছিলেন যে বিজেপির এক মহিলা নেতার বাড়ি থেকে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নাম মুছে ফেলা হয়েছিল। অভিযোগ করেছিলেন মহা বিকাশ আঘড়ির সব নেতারা। কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি... আমরা জিতি বা হারি না কেন, আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে থাকব। যে দেশে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়, আমরা কি মেশিনের ওপর অন্ধভাবে আস্থা রাখতে পারি? আপনি ঝাড়খণ্ডের ফলাফল দেখিয়ে আমাদের চুপ করতে পারবেন না। আজ পর্যন্ত কবিতা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আমরা কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর পাইনি।'
এর আগে গতকাল উদ্ধবপন্থী শিবসেনার নেতা সঞ্জয় রাউত বলেছিলেন, 'দু'দিন আগেই গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ২০০০ কোটির ঘুষের অভিযোগ ওঠে। সেই খবরকে ধামাচাপা দিতে অনেক আগে থেকেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই রাজ্যকে আদানিরাষ্ট্র হতে দেব না। এটা মানুষের জনমত হতে পারে না। এই ফলাফল মেনে নিতে আমরা রাজি নই। এই ধরনের ফল মহারাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা মহারাষ্ট্রের জনগণের অনুভূতি জানি। এটা ঘটতে পারে না। মহাযুতি পুরো রাষ্ট্রতন্ত্র দখল করেছে। এ রাজ্যের মানুষ অসৎ নয়। কীভাবে শিন্ডের সব প্রার্থী জয়ী হতে পারেন?'