শচিন সাইনি
গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের ৯১জন কংগ্রেস বিধায়ক স্পিকারের কাছে তাঁদের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন। মাস তিনেক আগের ঘটনা। এবার তাঁরাই সেই ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করা শুরু করে দিলেন। সোমবার কোর্টে এনিয়ে শুনানি আছে। তার আগেই একে একে তাঁদের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের কাজ শুরু করে দিলেন কংগ্রেস বিধায়করা। সকলেই রাজস্থানের মুখ্য়মন্ত্রী অশোক গেহলটের অনুগামী বলেই পরিচিত।
এদিকে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গত সেপ্টেম্বর মাসে অশোক গেহলটের জায়গায় শচিন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসানো হবে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। তারপর থেকেই কংগ্রেসের অন্দরে শোরগোল পড়ে যায়। অশোক অনুগামী বিধায়করা একে একে তাঁদের ইস্তফাপত্র দিতে শুরু করেন।
এদিকে এক বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, এই ব্যাপারে আদালত যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয় সেটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য আপাতত আবেদনপত্র প্রত্য়াহার করে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যে অবস্থায় এই ইস্তফা দেওয়া হয়েছিল তা এখন অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। সেকারণেই এবার ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিরোধী দলের ডেপুটি লিডার রাজেন্দ্র রাঠোর গত ৬ ডিসেম্বর আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন ৯১জন কংগ্রেস বিধায়ক যে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কংগ্রেস স্পিকার। এরপরই রাজস্থান হাইকোর্ট স্পিরাক সিপি যোশীর কাছে এনিয়ে নোটিশ পাঠায়।
এদিকে সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২ জানুয়ারি এই গণইস্তফা সংক্রান্ত মামলাটি আদালতে উঠতে পারে। দলের চিফ হুইপ মহেশ যোশী জানিয়েছেন, আমি জানতে পেরেছে ওই বিধায়করা তাঁদের ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। এটা বিধায়ক আর স্পিকারের মধ্য়ের ব্যাপার।
এর সঙ্গেই তাঁর সংযোজন, যদি সকলেই ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করে নেন তবে আমিও তাদের মধ্যে অন্যতম হব।
এদিকে আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হবে। তখন বাজেটও পেশ করা হবে। তার মধ্যে কংগ্রেস বিধায়করা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারে রাস্তায় হাঁটছেন।
মহেশ যোশী জানিয়েছেন, মুখ্য়মন্ত্রী রাজ্য বাজেট পেশ করবেন। এতে মানুষের স্বার্থ পূরণ হবে বলে আমরা মনে করছি।
এদিকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার সংক্রান্ত ব্যাপারে ধারিয়াবাদের বিধায়ক নাগরাজ মীনা জানিয়েছেন, আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছিলাম। আর এখনও স্বেচ্ছাতেই ইস্তফাপত্র তুলে নিচ্ছি।
এর সঙ্গেই তিনি জানিয়ে দেন, ভোট তো দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। কেন মুখ্যমন্ত্রীর পরিবর্তন করা হবে? সমস্ত বিধায়করাই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন।