প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করা হয়েছে, এই অভিযোগ খণ্ডাতে নিজের একাধিক টুইট সংশোধন করে আচরণের ব্যাখ্যা করতে হল কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মাকে।
রবিবার দেশের তিন বড় কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদক সংস্থার কারখানা ঘুরে সরেজমিনে অতিমারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। পরের দিন রাজ্য সভার কংগ্রেস সাংসদ আনন্দ শর্মা টুইট করেন, ‘সেরাম ইনস্টিটিউট, ভারত বায়োটেক ও জাইডাস ক্যাডিলায় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ভারতীয় বিজ্ঞানী ও কোভিড ভ্যাক্সিন উৎপাদনে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি। এই পদক্ষেপের ফলে মনোবল বাড়বে প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের এবং আশ্বস্ত হবেন দেশবাসী।’
আনন্দের টুইটগুলি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান জল্পনা তৈরি হয়। অনেকেই প্রশ্ন করেন, এবার কি বিজেপি-র খাতায় নাম লেখাতে চলেছেন কংগ্রেস সাংসদ?
মনে রাখা দরকার, গত অগস্ট মাসে কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ নির্বাচনের জন্য যে ২৩ জন নেতা সভাপতি সনিয়া গান্ধীর উদ্দেশেচিঠি লিখেছিলেন, তাঁদের অন্যতম আনন্দ শর্মা। সেই পদক্ষেপ বিশেষ সুনজরে দেখেনি কংগ্রেস হাই কম্যান্ড এবং ওই ২৩ নেতাকে বিদ্রোহী হিসেবে দেকে শীর্ষ নেতৃত্ব।
সাত ঘণ্টায় প্রায় ৪০০ টুইট অবং কয়েকশো প্রতিক্রিয়ার পরে শেষ পর্যন্ত শর্মাকে ফের টুইট করতে হয়, ‘আগের টুইটে কয়েকটি লাইনের সমন্বয়জনিত ত্রুটি এবং তার জেরে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য দুঃখিত। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আর্জি, ভ্যাক্সিন পাওয়া গেলেই দক্ষ এবং সহলভ্য বণ্টন ব্যবস্থাৈ যেন সুনিশ্চিত করা হয়। একমাত্র তাতেই প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধাদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে এবং দেশ আশ্বস্ত হবে।’
আনন্দ শর্মার টুইট বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেনি কংগ্রেস। গত শনিবার ভ্যাক্সিন কারখানায় প্রধানমন্ত্রীর সফরের তীব্র সমালোচনা করে দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা মন্তব্য করেন, বেসরকারী সংস্থার কারখানায় না ঘুরে বরং প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে দেখা করা উচিত ছিল নরেন্দ্র মোদীর।