জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট। সেদিন থেকে শুরু করে আজও পর্যন্ত কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাই করে এসেছে কংগ্রেস। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে জন্য নিজেদের ইস্তেহারে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনার বিষয়ে 'নীরব' থাকল কংগ্রেস। তবে হাত শিবির নিজেদের ইস্তেহারে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সম্মানীয় পুর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এদিকে তারা সরকার গঠন করলে প্রশাসন অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। এছাড়া কেন্দ্রের থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদাও ছিনিয়ে আনা হবে বলে দাবি করেছে কংগ্রেস। (আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের খলিস্তানি জঙ্গি ভিন্দ্রানওয়ালের সাথে তুলনা,বিস্ফোরক TMC সাংসদ)
আরও পড়ুন: থ্রেট কালচারে অভিযুক্তদের পক্ষে সওয়াল কুণালের! আরজি কর নিয়ে বললেন মরাত্মক কথা
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার। এরপর দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ হয়ে যায় উপত্যকা জম্মু ও কাশ্মীর। তারপর এই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। শেষবার ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীরে। তখন জম্মু ও কাশ্মীর ছিল পূর্ণ রাজ্য। সেবার পিডিপি এবং বিজেপি জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছিল। তবে ২০১৮ সালে সেই সরকার পড়ে যায়। জারি হয় রাষ্ট্রপতি শাসন। তারপর ২০১৯ সাল থেকে তো জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের দায়িত্ব দিল্লির হাতেই আছে। এই আবহে ২০১৪ সাল থেকে গত ১০ বছরে অনেকটা বদলে গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। (আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে 'অন্য কারও নির্দেশ'? সন্দীপ ঘোষেরও 'মাথা' খুঁজছে সিবিআই?)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত নিয়ে প্রধান বিচারপতির বড় নির্দেশ, তারপরই নির্যাতিতার বাড়িতে CBI
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধানত চতুর্মুখী লড়াই ৷ বিজেপি ছাড়া ভোটের ময়দানে রয়েছে মেহেবুবা মুফতির পিডিপি, ওমর আবদুল্লার জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স, কংগ্রেস ও বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের তৈরি একাধিক আঞ্চলিক দল ৷ বুধবার ভোট হচ্ছে কুলগাম, পুলওয়ামা, সোপিয়ান, অনন্তনাগ, কিশতওয়ার, রামবন ও ডোডার মতো উল্লেখযোগ্য আসনে। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন কুলগামের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ ইউসুফ ও ডুরুর কংগ্রেস প্রার্থী গুলাম আহমেদ মীর। উল্লেখ্য, মোট ৩ দফায় নির্বাচন হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। বুধবার প্রথম দফার নির্বাচন। কাশ্মীরের ১৬টি আসন ও জম্মুর ৮টি আসনে আজ সকাল ৭টা থেকে চলছে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: মুখোমুখি জেরায় আদৌ কোনও ফল মিলছে? আর কতদিন CBI হেফাজতে অভিজিৎ-সন্দীপ?
প্রথম দফায় ২০১৯ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে ২৩ লক্ষেরও বেশি ভোটার। তাঁদের মধ্যে ৩৫ হাজার কাশ্মীরি পণ্ডিতও আছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ভোট দেবেন মোট ২৩ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৮০ জন ভোটার। তাঁদের মধ্যে ১১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৪৬২ জন রয়েছেন পুরুষ ভোটার। মহিলা ভোটারের সংখ্য়া ১১ লক্ষ ৫১ হাজার ৫৮ জন। সেই সঙ্গে, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬০ জন। এদিন ভোট শুরু হতেই উপত্যকাবাসীদের নির্ভয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের জন্য আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি এলাকার সকলকে বিপুল সংখ্যক ভোট দিতে এবং গণতন্ত্রের উৎসবকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানাই। বিশেষ করে তরুণ এবং প্রথমবারের ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।'