যুদ্ধবিমান রাফাল কেনার সময় দুর্নীতি হয়েছে বলে ভারতে অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। পরে অবশ্য দীর্ঘ মামলার পর সেই অভিযোগ খারিজ হয় সুপ্রিমকোর্টে। তবে এবার সেই ঘটনায় নতুন করে বিচারবিভাগীয় তদন্ত শুরু হতে চলেছে ফ্রান্সে। এই ঘটনায় ফের একবার কংগ্রেস যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করে তদন্তের দাবি তুলল। তিনি বলেন ফ্রান্সের তদন্তে রাফাল কেলেঙ্কারি ফাঁস
এই বিষয়ে কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, 'এটা খুবই স্পর্শকাতর একটি মামলার তদন্ত। দুই সরকারের মধ্যে এই চুক্তি সই হয় ২০১৬ সালে।' পাশাপাশি সুরজেওয়ালা দাবি করেন এই কেলেঙ্কারির নেপথ্যে থাকা সত্যি প্রকাশ্যে আসবেই। সুরজেওয়ালা প্রশ্ন করেন, 'প্রধানমন্ত্রী কখন যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে এর তদন্তভার তুলে দিয়ে দেশকে জবাব দেবেন?'
উল্লেখ্য, দ্য ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল প্রসিকিউটর’স অফিস বা পিএনএফ-এর তরফে জানানো হয়, ২০১৬ সালে ফ্রান্স ভারতকে যে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান বিক্রি করেছিল, তা নিয়ে তদন্ত হবে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাফাল দুর্নীতির অভিযোগ অন্যতম বড় ইস্যু হয়ে উঠেছিল। ক্ষমতাসীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। তাদের দাবি ছিল, ইউপিএ আমলে হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্যাল লিমিটেড বা হ্যালের মাধ্যমে ১২৬টি রাফাল কেনার চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি বাতিল করে ৭.৮ বিলিয়ন ইউরোর একটি চুক্তি করে এনডিএ সরকার। যে চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে। এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি এই ঘটনায় যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্ত দাবি করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কোনও মধ্যস্থতাকারীর সহায়তায় এই কাজ হয়েছে। অনিল আম্বানীকে এই চুক্তি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।