একটি বাক্যের অর্থ কীভাবে পরিবর্তিত হয়, যখন একটি হিন্দু নাম বদলে মুসলিম নাম হয়, এই বিষয়ে সদ্য একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাটনার ‘খান স্যারের ভিডিয়ো’ ঘিরে সদ্য তোলপাড় শুরু হয়েছে। সঞ্চালকের গ্রেফতারির দাবিতে সরব কংগ্রেস।
এই ভিডিয়ো নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক। 'খান স্যারের ভিডিয়ো' নামাঙ্কিত ক্লিপে দেখা যাচ্ছে, একই বাক্যের অর্থ কীভাবে পরিবর্তিত হয়ে যায়, যখন কারোর নাম ‘সুরেশ’-এর বদলে ‘আবদুল’ হয়। ভিডিয়োয় বক্তা বলেন, এমন কিছু বাক্য রয়েছে যার দুটি মানে হয়। বাক্যে ‘সুরেশ’ ও ‘আবদুল’ শব্দ দুটি দিয়ে ‘বিমান ওড়ানো’ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থের পার্থক্য তুলে ধরা হয়। হিন্দি ভাষায় এই এই দুই ভিন্ন বাক্যের পার্থক্য ঘিরে ওই ব্যক্তি বক্তব্য তুলে ধরে। দেখা যায়, ভিডিয়োতে এই বাক্যের পার্থক্যের বিষয়টি শুনে অনেকেই হাসছেন। এদিকে, ওই ব্যক্তির গ্রেফাতারির দাবিতে সরব হয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়,' এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা উচিত। আর যারা এই ভিডিয়ো শুনে হাসছেন, তাঁদের বোঝা উচিত তাঁরা কী হয়ে উঠছেন।' কংগ্রেসের নেতা নেত্রীদের দাবি, শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন ব্যক্তিরা হিংসার মনোভাব ছড়াচ্ছেন।
কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা শ্রীনাতের দাবি, ‘ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা উচিত’। এদিকে, এক মাইক্রোব্লগিং সাইটে অশোক কুমার পাণ্ডে এই ভিডিয়ো ক্লিপ শেয়ার করেন। তিনি সেখানে লেখেন, ‘নিচতারও একটি নির্দিষ্ট পর্যায় থাকা উচিত।’ তিনিও দাবি করেন ওই ব্যক্তির গ্রেফতারির। উল্লেখ্য, ‘খান স্যার্স ভিডিয়ো’ ঘিরে এর আগেও বহু বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই নতুন সুরেশ-আবদুল ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে কর্ণাটকের মনিপাল ইন্সটিটিউটে এক অধ্যাপক এক পড়ুয়াকে 'জঙ্গি' আখ্যা দেওয়ার পর। যে ঘটনা ঘিরেও বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে।