পরপর পাঁচটি টুইটে সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যু মামলায় মুখ খুললেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর গ্রেফতারির পর থেকে নানা মুনির নানা মতে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এবার বাঙালি–বিহারি তত্ত্ব দিয়ে বিতর্কে আর এক মাত্র যোগ করলেন সদ্য নিযুক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
টুইটে তিনি লেখেছেন, ‘প্রয়াত তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত একজন ভারতীয় অভিনেতা ছিলেন। কিন্তু বিজেপি শুধু নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে তাঁকে একজন বিহারি অভিনেতায় পরিণত করেছে।’ বাস্তবেই বিহারের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সুশান্তের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। এই ঘটনার তদন্ত করুক সিবিআই, এমনই দাবি জানানো হয়েছে।
মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তীর গ্রেফতারির ব্যাপারটি হাস্যকর। টুইটে এমনই দাবি করেছেন অধীরবাবু। তিনি লিখেছেন, ‘রিয়া চক্রবর্তীকে কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে প্ররোচনা দেওয়া বা খুন করার জন্য গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে মাদক–কাণ্ডে এনডিপিএস আইনে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো হেফাজতে নিয়েছে। এটা পুরোপুরি হাস্যকর।’ তিনি আরও যোগ করেই, ‘রাজনৈতিক নেতাদের খুশি করার জন্য আপন আপন ভূমিকা পালন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। সমুদ্র মন্থন করার পর তারা অমৃতের পরিবর্তে মাদক আবিষ্কার করেছে। খুনির খোঁজে এখনও অন্ধকারে হাতড়াচ্ছে তারা।’
এর পরই সেই টুইট। অধীরবাবু বলেন, ‘রিয়ার বাবা একজন প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। তিনি দেশের সেবা করেছেন। রিয়া বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের প্রতি বিচার করা হলে সেটিকে কোনও বিহারির প্রতি বিচার হিসেবে না ধরাই উচিত হবে।’ তাঁর সাফ কথা, ‘রিয়ার বাবা তাঁর সন্তানদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করবেন। এটা তাঁর অধিকার। কিন্তু সেই বিচার যাতে সংবাদমাধ্যম না করে। এটি আমাদের সংবিধানের প্রতি মঙ্গলজনক হবে না।’