এবার রাজধানীতি ধুন্ধুমার প্রসঙ্গে মুখ খুলল দিল্লি পুলিশ। আজ সকাল থেকেই কংগ্রেস নেতা-কর্মী এবং পুলিশের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনে ঘটেছে থেকে থেকেই। দিল্লিতে আটক করা হয়েছে একাধিক কংগ্রেস নেতাকে। এই আবহে দিল্লি পুলিশের বিশেষ কমিশনার (আইন-শৃঙ্খলা) সাগর প্রীত হুডা বলেন, পুলিশ কংগ্রেস নেতাদের যন্তর মন্তরে যেতে বলেছিল। কংগ্রেস অবশ্য ইডি দফতরের সামনেই তাঁদের সত্যাগ্রহ মিছিল অনুষ্ঠিত করার চেষ্টা করে। এবং এরপরই দিল্লি পুলিশের বাধার মুখে পড়তে হয় শতাব্দী প্রাচীন দলের নেতা-কর্মীদের।
উল্লেখ্য, আজ ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীকে তলব করা হয়েছিল ইডির তরফে। সেই মতো এদিন দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে পৌঁছান রাহুল। আর এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিক্ষোভ প্রদর্শন জারি রাখে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। যদিও এই মিছিলের অনুমতি দেয়নি দিল্লি পুলিশ। পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিল্লি পুলিশের তরফে জারি করা হয়েছিল ১৪৪ ধারা। তবে ১৪৪ অমান্য করে কংগ্রেস বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে বিক্ষোভকারীদের আটক করে পুলিশ।
কংগ্রেসের দাবি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, হরিষ রাওয়াত, রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা, অধীর চৌধুরী, সচিন পাইলট, মল্লিকার্জুন খড়গে, কেসি বেণুগোপাল সহ তাবড় কংগ্রেস নেতাদের আটক করে নিয়ে গিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী অভিযোগ করেন যে তাঁকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেছে পুলিশ। এদিকে রণদীপ সিং সুরযেওয়ালা বিজেপিকে ‘নাথুরাম গোডসের বংশধর’ বলে কটাক্ষ করেন। পাশাপাশি কংগ্রেসকে দমানো যাবে না বলেও দাবি করেন সুরযোওয়ালা।