মঙ্গলবার শিলংয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন কনরাড সাংমা। নির্বাচনের আগে যতই শত্রুতা থাক, মেঘালয়ের ফল প্রকাশের পরই বিজেপির তরফে এনপিপিকে সমর্থন করার ঘোষণা করা হয়েছিল। ফল প্রকাশের আগেই অবশ্য কনরাড সাংমা গুয়াহাটি গিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে নৈশভোজ সেরে এসেছিলেন। জল্পনা তখন থেকেই ছিল। এরপর ফল প্রকাশ হতেই ফের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলায় এনপিপি। মাঝে কংগ্রেস ও তৃণমূল ইউডিপিকে সঙ্গে নিয়ে সব ছোট দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করেছিল। তবে সেই সব চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। (আরও পড়ুন: কলকাতার মুকুটে জুড়বে নয়া পালক, ডিসেম্বরে গঙ্গার নীচ দিয়ে যাওয়া যাবে মেট্রো চেপে)
ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টি, হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি এবং বিজেপির সমর্থন পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে সরকার গঠন করেন কনরাড সাংমা। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরও এই দলগুলি একসঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠন করেছিল। তবহে নির্বাচন আসতেই একে অপরের হাত ছেড়ে 'একলা চলো' নীতি গ্রহণ করে সব দল। এই আবহে বিজেপিকে 'খ্রিষ্ঠান বিরোধী' দল বলে আখ্যা দিয়েছিল এনপিপি। অপরদিকে এনপিপি-কে 'সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত' দল আখ্যা দিয়েছিল বিজেপি। প্রচারের শেষদিনে প্রধানমন্ত্রী মোদী যখন তুরাতে জনসভা করতে আসেন, তখন পিএ সাংমা স্টেডিয়ামে সেই সভা করার অনুমতিও দেয়নি মেঘালয় সরকার। তবে ভোটের আগের সেই 'বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই' এখন অতীত। আগামী পাঁচবছর আবার একে অপরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার চালাবে মেঘালয় ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স ২.০। এমডিএ ২-এর চেয়ারম্যান করা হয়েছে কনরাড সাংমাকে।
এনপিপি জোটের কাছে বর্তমানে ৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। এই আবহে আজকে কনরাড সাংমা ছাড়াও আরও ১১ জন মন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তাঁদের মধ্যে দু'জন উপমুখ্যমন্ত্রী। ক্য়াবিনেটে ১২জন সদস্যের মধ্যে ন্যাশানাল পিপলস পার্টি থেকে থাকবেন ৮ জন, ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টি থেকে ২ জন, হিল স্টেট পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও বিজেপি থেকে একজন করে থাকবেন। আজ এই ১২ জনকে শপথবাক্য পাঠ করান মেঘালয়ের রাজ্যপাল ফাগু চৌহান। বিজেপি থেকে মন্ত্রিসভায় থাকছেন অ্যালেকজান্ডার লালু হেক।