বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > সহবাসে সায় মহিলার, বিয়ের প্রতিশ্রুতি যুবকের, সেটা কি ধর্ষণ? বড় রায় হাইকোর্টের

সহবাসে সায় মহিলার, বিয়ের প্রতিশ্রুতি যুবকের, সেটা কি ধর্ষণ? বড় রায় হাইকোর্টের

ধর্ষণের ক্ষেত্রে বড় পর্যবেক্ষণ ওড়িশা হাইকোর্টের। প্রতীকী ছবি

আদালতের পর্যবেক্ষণ, ধর্ষণ সম্পর্কিত আইনটি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কার। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন নয়। বিশেষত নিজেদের পছন্দে যখন কোনও মহিলা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও প্রাপ্তবয়স্কা নারীর সঙ্গে সহবাস করা হলে তা কোনওভাবেই ধর্ষণ নয়। এমনটাই জানিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট। আদালতের বিশেষ পর্যবেক্ষণ, ওই মহিলার সঙ্গে সম্মতির ভিত্তিতে যদি শারীরিক সম্পর্ক হয় তবে তাতে ধর্ষণের মতো অপরাধ রোধের ধারা আরোপ করা যাবে না অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এমনটাই জানিয়েছে ওড়িশা হাইকোর্ট।

বিচারপতি সঞ্জীব পানিগ্রাহির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছে, বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা হলে তা ধর্ষণ বলে গণ্য করা যায় না। এটা হলে বিভ্রান্তিকর হবে বিষয়টি। আসলে একটি ধর্ষণের অভিযোগ সংক্রান্ত রায় দানের সময় আদালত এই পর্যবেক্ষণের বিষয়টি জানিয়েছে। হাইকোর্ট নিম্ন আদালতকে জানিয়েছে এক্ষেত্রে অভিযুক্তকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হোক।

আর সেই শর্ত অনুসারে উল্লেখ করা হয়েছে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে ওই ব্যক্তিকে। তিনি কোনওভাবেই ওই মহিলাকে ভয় দেখাতে পারবেন না।

এদিকে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই যুবকের সঙ্গে মহিলার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই সহবাস করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে পরে ওই যুবক বেপাত্তা হয়ে যান। নিমাপাড়া থানায় এনিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়। পরে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে নিম্ন আদালতে তার জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। পরে তিনি হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেন। সেখানে অবশ্য জামিন পেয়েছেন তিনি।

অভিযুক্তের আইনজীবী দেবস্নানা দাস জানিয়েছেন, এর আগে সুপ্রিম কোর্টও জানিয়েছিল কোনও মহিলার সম্মতির ভিত্তিতে যদি সহবাস হয় তবে তাতে ধর্ষণের ধারা আরোপ করা যায় না। তবে অন্য ক্রিমিনাল অ্য়াক্ট লাগু হতে পারে। হাইকোর্ট সেই রায় বহাল রেখেছে।

এদিকে একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে, বিচারপতি পানিগ্রাহীর পর্যবেক্ষণ, কোনও মহিলা যখন স্ব-ইচ্ছায় কোনও যৌন সম্পর্কে জড়াচ্ছেন তখন তাকে ধর্ষণ বলে উল্লেখ করা যায় না। তবে এটাও সমানভাবে বিরক্তিকর যে অনেক গরিব মহিলাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করা হয়। মূলত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এসব করা হয়। সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের মহিলাদের সঙ্গে এটা করার প্রবনতা রয়েছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, ধর্ষণ সম্পর্কিত আইনটি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে আইনপ্রণেতাদের দৃষ্টিভঙ্গি খুব পরিষ্কার। ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ধর্ষণ সংক্রান্ত আইন নয়। বিশেষত নিজেদের পছন্দে যখন কোনও মহিলা শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

 

বন্ধ করুন