বিভেদ যেন বিবাদে পরিণত না হয়- ভারত ও চিনের সামরিক বৈঠকে এই বিষয়ে দুই পক্ষ সহমত হয়েছে বলে সোমবার জানাল বেজিং। প্রসঙ্গত, শুক্রবারের কূটনৈতিক আলোচনাতেও এই কথাটি বলা হয়েছিল। শনিবার হয় দুই পক্ষের মধ্যে থ্রি-স্টার জেনারেলদের বৈঠক। তারপরে এদিন প্রথম সরকারিভাবে চিনের তরফ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হল বৈঠক সম্বন্ধে।
লাদাখে প্রায় একমাস ধরে অচলাবস্থা চলছে।মুখোমুখি দুই সেনা। শনিবারের বৈঠক ইতিবাচক মানসিকতায় হলেও জট কাটেনি বলে জানা গিয়েছে ভারতীয় সূত্র থেকে। এদিন চিনের বিদেশমন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে যে দুই দেশ সহমত হয়েছে শি জিনপিং ও নরেন্দ্র মোদী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সেটাকে মেনে চলার যে বিভেদ যেন বিবাদে পরিণত না হয়।
চিনের মলডোয় দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন লিউট্যানেন্ট জেনারেল হরিন্দর সিং,., যিনি ১৪ কোর্পসের কম্যান্ডার। চিনের দলের প্রধান ছিলেন মেজর জেনারেল লিউ লিন, যিনি দক্ষিণ শিনজিয়াং সামরিক এলাকার কম্যান্ডার।
চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন যে আলোচনা হয়েছে। কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মত বিনিময় হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সুস্থির আছে ও দুই দেশ আরো আলোচনা চালিয়ে যাবে প্রাসঙ্গিক ইস্যুগুলিকে ঠিক করার জন্য বলে জানান চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। দুই দেশই চেষ্টা করছে সীমান্তে শান্তি ও মৈত্রীর পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য, জানিয়েছে চিনের বিদেশমন্ত্রক।
কার্যত একই কথা ভারতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। ফলে আপাতত সমস্যার কোনও নিরসন না হলেও দুই দেশই চেষ্টা চালাচ্ছে সমাধানসূত্র খোঁজার। ভারত আগেই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছে যে সীমান্তে পরিকাঠামো বানানোর কাজ বন্ধ করা হবে না, চিন যতই রক্তচক্ষু দেখায়।