সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরিতে তফসিলি জাতি-জনজাতিদের (এসসি-এসটি) মধ্যে একাংশকে চিহ্নিত করে আলাদা করে সংরক্ষণের সুযোগ দেওয়া নিয়ে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তফসিলি জাতি-জনজাতিদের মধ্যে অতি পিছিয়ে পড়া অংশকে চিহ্নিত করে কোটার মধ্যে কোটার সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করেছে কেন্দ্র সরকার। বৈঠক শেষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণব জানান, বাবা সাহেব আম্বেদকরের সংবিধানে তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি সংরক্ষণে ‘ক্রিমি লেয়ার’(আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল শ্রেণির)- এর কোনও ধারণা নেই।
আরও পড়ুন: তপশিলি জাতির শ্রেণিভাগ করতে পারে রাজ্য, বড় রায় সুপ্রিম কোর্টের
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের উপর মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এসসি এবং এসটিদের জন্য সংরক্ষণের বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, রাজ্যগুলিকে অবশ্যই এসটি এবং এসটিদের মধ্যে অগ্রসর অংশকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দিতে হবে।’ তাই নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।
মন্ত্রী জোর দেন, যে এসসি-এসটি সংরক্ষণের বিধান সংবিধান অনুসারে হওয়া উচিত। যদিও বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী উত্থাপন করেছেন কিনা জানতে চাইলে বৈষ্ণব জানান, ‘এটি মন্ত্রিসভার সুচিন্তিত দৃষ্টিভঙ্গি।আমি মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে হওয়া আলোচনার বিষয়ে বলেছি।’ যদিও এনিয়ে কোনও আইনি পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে কিনা সেবিষয়ে স্পষ্ট উত্তর মন্ত্রীর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে শুক্রবার, এসসি এবং এসটি সাংসদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা এবং এসসি, এসটি সংরক্ষণ এবং সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। বৈঠকের কথা মোদী এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ৭ বিচারপতির বেঞ্চ এনিয়ে রায় দিয়েছিল। ৬ জন বিচারপতি রাজ্য সরকারগুলিকে এসসি, এসটির মধ্যে উপশ্রেণি চিহ্নিত করার পক্ষে রায় দিয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই বলেছিলেন, যে রাজ্যগুলিকে অবশ্যই তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতির মধ্যে থেকে বিশেষ শ্রেণিকে শনাক্ত করার জন্য একটি নীতি তৈরি করতে হবে এবং তাদের সংরক্ষণের সুবিধা থেকে বাদ দিতে হবে। তারপরেই এই বৈঠক।