লোকসভা ভোট ২০২৪ এর পর সোমবার থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনে ১৮ তম লোকসভায় সাংসদদের শপথপাঠ অনুষ্ঠান চলছে। মঙ্গলবার সংসদে শপথপাঠ করেন রাহুল গান্ধী। এদিন তিনি সংবিধানের কপি হাতে সাংসদ পদে নিয়েছেন শপথ। শপথ পাঠ শেষে দিয়েছেন, ‘জয় হিন্দ, জয় সংবিধান’ ধ্বনি।
লোকসভা ভোটের প্রচার পর্ব থেকেই সংবিধানের কপি হাতে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝোড়ো প্রচার করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধান ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন। এদিকে, ভোটের পরও তাঁর দল সহ ইন্ডিজোটের চরম সাফল্যের পর কংগ্রেসের সাংসদ রাহুল বলেন, দেশ এই নির্বাচনে সংবিধানের পক্ষে রায় দিয়েছে। এরপর, সোমবার সংসদে সাংসদ পদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের শপথের সময়ও দেখা যায় রাহুলরা সংবিধানের কপি হাতে তুলে তা দেখাচ্ছেন। এরপর মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী তাঁর শপথের সময় হাতে তুলে নেন সংবিধানের কপি। সেই সংবিধানের কপি দেখিয়ে তিনি শপথপাঠ করেন। শপথ পাঠের শেষে রাহুল উচ্চারণ করেন,'জয় হিন্দ, জয় সংবিধান' এর ধ্বনি।
এদিকে, আজকের শপথপাঠে আলাদা করে নজর কেড়েছেন প্রথমবারের সাংসদ বাঁশুরী স্বরাজ। তিনি এদিন সংস্কৃততে শপথ পাঠ করেন। এছাড়াও শপথ পাঠের পর এআইএণআইএম-র আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এদিন প্য়ালেস্তাইনের সপক্ষে দেন জয়ধ্বনি। অন্যদিকে, বিজেপির সাংসদ ছত্রপাল সিং গাংওয়ার দিয়েছেন ‘হিন্দুরাষ্ট্রের’ পক্ষে জয়ধ্বনি। বাংলার বহরমপুরের সাংসদ তথা অধীর চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবারের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান শপথের শেষে ‘জয় বাংলা, জয় গুজরাট’ ধ্বনি তোলেন। এদিকে, নিট পুনরায় হওয়ার দাবি নিয়ে বিহারের নির্দল সাংসদ পাপ্পু যাদব একটি ‘রি নিট’ লেখা টি শার্ট পরে শপথ পাঠ করেন।
এদিকে, কংগ্রেসের সংবিধান ইস্যুতে সরব হওয়ার ঘটনাকে পাল্টা জবাব দিতে বিজেপি নেমেছে ময়দানে। এনডিএ সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীরা ইন্দিরা গান্ধী সরকারের জারি করা জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করেছেন। এই পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সেই পোস্টগুলিতেও ভারতের সংবিধান ইস্যুতে ইন্দিরা গান্ধীর আমলের কংগ্রেস সরকারকে খোঁচা দেওয়া হয়েছে। এমনই এক দিনে রাহুলের সংবিধানের কপি হাতে সংসদে শপথপাঠ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়।