প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে ‘সাহসী ও দূরদর্শী’ নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি জানান, বড় সংস্কারের জন্য সাহসী এবং দূরদর্শী হয়ে উঠতে হয়। আর সেই সংস্কারের কাজটা করা হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’, অর্থনৈতিক সংস্কারের কথাও উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। যিনি প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন, ‘ভারতীয় হিসেবে আমাদের যে সম্মিলিত পরিচিতি আছে, সেটার আসল ভিত্তি তৈরি করে দেয় সংবিধান। যা আমাদের পরিবার হিসেবে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে।’
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি কী কী বললেন?
১) রাষ্ট্রপতি: বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা হিসেবে ভারত একটা সময় জ্ঞানের উৎসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিল।
২) রাষ্ট্রপতি: বড় সংস্কারের জন্য সাহস এবং দূরদর্শিতার প্রয়োজন হয়।
৩) 'এক দেশ, এক নির্বাচন'-র হয়ে সওয়াল করলেন রাষ্ট্রপতি। সেই বিষয়টির কী কী সুবিধা আছে এবং কী কী ইতিবাচক বিষয় রয়েছে, তাও ব্যাখ্যা করেন।
৪) রাষ্ট্রপতি: আগামিদিনেও সাহসী এবং দূরদর্শী অর্থনৈতিক সংস্কারের ধারা বজায় থাকবে।
৫) রাষ্ট্রপতি: আমরা ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে অনেকের মানসিকতায় ঔপনিবেশকতার ছাপ রয়ে গিয়েছিল। আর সেই মানসিকতা পরিবর্তন করার জন্য আমরা সম্প্রতি একাধিক পদক্ষেপ দেখছি। সেরকম যে যে পরিবর্তন করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ন্যায় সংহিতা। ব্রিটিশ আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধি (ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি), কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিওর (সিআরপিসি) এবং ১৮৫৭ সালের 'ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট' বাতিল হয়ে 'ভারতীয় ন্যায় সংহিতা', ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ এবং ‘ভারতীয় সাক্ষ্য আইন’ কার্যকর হয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন হবে রবিবার
উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি পালন করা হবে প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রতি বছরের মতো এবারও দিল্লির কর্তব্য পথে কুচকাওয়াজ হবে। আর সেই প্যারেডে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডার তুলে ধরবে ভারত। কুচকাওয়াজে থাকবে মিসাইল, ট্যাঙ্ক, অত্যাধুনিক সিস্টেম থেকে যুদ্ধবিমান।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজেও থাকবে প্রথমবার প্রদর্শিত হবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি 'প্রলয়' ক্ষেপণাস্ত্র। ভারতীয় সেনা এবং ভারতীয় বায়ুসেনার অস্ত্রভাণ্ডারে 'প্রলয়' হল দেশের প্রথম ব্যালিস্টিক মিসাইল, যা প্রচলিত হামলার জন্য ব্যবহার করা হবে। যে ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা হল ৪০০ কিলোমিটার। যা ভারত-পাকিস্তান এবং ভারত-চিন সীমান্তে মোতায়েন করার কথা আছে।