নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই নাকি প্রিপেড প্যাকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছিল। সেই অভিযোগ তুলে ক্রেতা সুরক্ষা ফোরামে অভিযোগ ঠুকেছিলেন এক ব্যক্তি। আর সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি টেলিকম সংস্থাকে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল ওড়িশার ক্রেতা সুরক্ষা ফোরাম। সেইসঙ্গে ওই ব্যক্তিকে ৩৬ দিনের জন্য আনলিমিটেড টকটাইম প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, মামলার খরচ হিসেবে ওই ব্যক্তিকে ১০,০০০ টাকাও দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আপাতত ওই টেলিকম সংস্থার তরফে কিছু জানানো হয়নি।
রিচার্জের ১ দিন কমিয়ে দেওয়া হত, অভিযোগ গ্রাহকের
আর যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই নির্দেশ দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা ফোরাম, তা ২০২২ সালের ১৭ জুন দায়ের করা হয়েছিল। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, যতবার ২৮ দিনের প্রিপেড প্যাক রিচার্জ করিয়েছিলেন, ততবার নির্দিষ্ট সময়সীমার একদিন আগেই প্যাকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তিনি আগে যে প্যাক রিচার্জ করিয়েছিলেন, সেটাই যদি রিচার্জ না করতেন, তাহলে সেটির মেয়াদ একদিন কমিয়ে দেওয়া হত।
অসাধু ব্যবসায়িক কাজ, বলল কমিশন
সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে ওই টেলিকম সংস্থা নিজেদের গোপন প্যাকের বিষয়টি লুকিয়ে গিয়েছিল। একটি শর্তের বিষয়ে গ্রাহকদের ঠিকমতো অবহিত করা হয়নি। এমনকী গ্রাহকরা যখন রিচার্জ করতেন, তখনও তাঁদের বলা হত না যে তাঁরা আগে যে প্যাক ব্যবহার করতেন, সেটা রিচার্জ না করার জন্য মেয়াদ একদিন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা স্পষ্ট যে অসাধু ব্যবসায়িক কাজ করেছে সংশ্লিষ্ট টেলিকম সংস্থা। যে কারণে অভিযোগকারীকে হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।
ট্রাইয়ের নয়া নির্দেশিকা কী জারি করা হয়েছে?
এমনিতে এমন সময় সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার কয়েকদিন আগেই ট্রাই (টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) নয়া নিয়ম চালু করা হয়েছে। ট্রাই নির্দেশ দিয়েছিল যে ইন্টারনেট ছাড়াই টেলিকম সংস্থাগুলিকে শুধুমাত্র ভয়েস কলিং এবং এসএমএস প্যাক চালু করতে হবে।
কারণ অনেক গ্রাহকের ইন্টারনেট প্রয়োজন হয় না। সেক্ষেত্রে তাঁদের অহেতুক ডেটা প্ল্যান থাকত। গুনতে হত বেশি টাকা। সেটা যাতে না হয়, সেজন্য ওই নির্দেশ দিয়েছিল ট্রাই। কিন্তু তাতে পালটা ‘গুগলি’ দেয় বিভিন্ন একাধিক টেলিকম সংস্থা। অনেক সংস্থাই দাম মোটামুটি এক রেখে শুধুমাত্র ইন্টারনেট বাদ দিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।