আরবের শেখদের মতো পোশাক পরে কনটেন্ট তৈরি করতে গিয়ে মহাকুম্ভে গণধোলাই খেতে হল এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরকে! সেই ঘটনার ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা, সমালোচনা।
এক এক্স ইউজার তাঁর প্রোফাইলে এই ঘটনার ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, 'মহাকুম্ভে আরবের শেখদের মতো পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর। পরে লোকজন তাঁকে পাকড়াও করে এবং গণধোলাই দেয়।'
৫৪ সেকেন্ডের যে ভিডিয়োটি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, এক যুবক আরবের শেখদের ঐতিহ্যশালী সাদা রঙের পোশাক পরে মহাকুম্ভের মেলাস্থলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যদিও তাঁর চেহারা মোটেও আরবের শেখদের মতো নয়।
ওই যুবকের সঙ্গে রয়েছেন আরও দুই যুবক। ভিডিয়োয় কোনও এক ব্যক্তির গলার স্বর শোনা যাচ্ছে। যিনি অনেকটা সাংবাদিকদের মতো ইন্টারভিউ নেওয়ার ধাঁচে শেখের ভেক ধরা যুবককে জিজ্ঞেস করছেন, কেমন লাগছে কুম্ভ মেলায় এসে!
এই প্রশ্নের জবাবে শেখের পোশাক পরে থাকা যুবকের এক সঙ্গী বলেন, 'এই হলেন শেখ প্রেমানন্দ! তিনি রাজস্থান থেকে এসেছেন।' মানুষজন প্রথমে এই গোটা বিষয়টা দেখে বোধ হয় মজাই পাচ্ছিল। তারা কৌতূহলী চোখে ওই যুবককে দেখছিল। এমনকী, ভিডিয়োয় যে ব্যক্তির গলা শোনা যাচ্ছে, তাঁকে বলতে শোনা যায়, ওই 'শেখ' নাকি সঙ্গে করে নিরাপত্তারক্ষীও নিয়ে এসেছেন!
ইতিমধ্যে কয়েকজন সাধু দৌড়ে আসেন। তাঁরা ওই যুবককে ধরে ফেলেন, আটকান। বোঝা যায়, ওই যুবক মোটেও শেখ নন। তিনি 'নকল'! এমনকী, সেকথা কয়েকজনকে চেঁচিয়ে বলতেও শোনা যায়। আর তারপরই শুরু হয় গণধোলাই। এই অংশে এসে ওই ভিডিয়োটিও শেষ হয়ে যায়।
এই গোটা ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় অধিকাংশ নেটনাগরিক নিজেদের ক্ষোভ এবং বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। একজন লিখেছেন, 'ওই যুবকের এসব করার দরকার কী ছিল?'
আরও একজনের বক্তব্য হল, 'যে কোনও সংস্কৃতির ঐতিহ্যশালী পোশাকের প্রতি সর্বদাই সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। সাংস্কৃতিক প্রতীকের অসম্মান এবং ভুল ব্যাখ্যা করা হলে তা আরও বেশি ভুল বোঝাবুঝি এবং ক্ষতির সৃষ্টি করে।'
তৃতীয় এক ব্যক্তি লিখেছেন, 'শুধুমাত্র সোশাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হওয়ার জন্য কিছু মানুষ যা ইচ্ছা, তাই করছে।' কেউ কেউ আবার শুধুই এই ভিডিয়ো দেখে রাগ প্রকাশের ইমোজি ব্যবহার করেছেন। কেউ কেউ হতাশ হয়ে লিখেছেন 'এমএমএইচ' (শেক মাই হেড)!