শ্রীনগরের লাওয়াইপোরায় নিহত তিনজন জঙ্গি ছিল নাকি সাধারণ নাগরিক, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, তিনজন জঙ্গি ছিল। যদিও পরিবারের তরফে নিহতদের নির্দোষ বলে দাবি করা হয়েছে। সেই বিতর্কে সাবধানী অবস্থান নিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের তরফে জানানো হল, প্রশাসন তো তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। কোনও ভুল হলে তা শুধরে নেবে প্রশাসন।
গত ৩০ ডিসেম্বর হোকেরসার-লাওয়াইপোরায় তিনজনকে খতম করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং ভারতীয় সেনার যৌথ বাহিনী। তাদের মধ্যে জুবের আহমেদের (২৪) বাড়ি শোপিয়ানের তুর্কাওয়াংগামে। পুলওয়ামায় থাকত আয়াজ মকবুল (২২) এবং আথার মুস্তাক (১৭)। নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়, ওই তিনজনই জঙ্গি এবং গুলির লড়াইয়ে খতম করা হয়েছিল।
যদিও নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি উড়িয়ে দিয়েছে নিহতদের পরিবার। তিন পরিবারের দাবি, একাদশ শ্রেণিতে পড়ত আথার। স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছিল আয়াজ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমিক ছিল জুবের। মৃত্যুর আগেরদিন তিনজনেই বাড়ি ছিল বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। পরিবারের সেই দাবির পরই এনকাউন্টার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জম্মু ও কাশ্মীরের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল।
বিজেপি অবশ্য গুলির লড়াই নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। বরং সাবধানী অবস্থান নিয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অশোক কৌল বলেন, ‘প্রশাসন বলেছে যে ঘটনার তদন্ত করা হবে। যদি কোনও ভুল হয়, তাহলে শুধরে নেওয়া হবে। যদি কোনও ভুল না থাকে, তাহলে ঠিক আছে।’ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিজেপির মুখপাত্র আলতাফ ঠাকুর বলেন, ‘তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কোনওরকম ভুল হয়, তাহলে তাঁদের শাস্তি দেওয়া উচিত। যদি (ভুল) না থাকে, তাহলে ঠিক আছে।’
তারইমধ্যে পরিবারের দাবি উড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন প্রমাণ খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে যে জঙ্গিদের মদত জোগাত আয়াজ এবং আথার। একইসঙ্গে তারা চরমপন্থার দিকে ঝুঁকেছিল এবং লস্কর-ই-তৈবার (এখন তথাকথিত টিআরএফ হিসেবে পরিচিত) জঙ্গিদের সাহায্য করেছিল। তা সত্ত্বেও সবদিক বিচার করে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।