করোনা টিকাকরণ বৃদ্ধির জন্য টিকা উৎপাদনকারী সংস্থার সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। তবে তাঁর সেই প্রস্তাবের পরই বিতর্ক শুরু হয়। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ পেয়ে ইতিমধ্যেই ১২টি সংস্থা এবং প্ল্যান্টে করোনা টিকা উৎপাদনের তোড়জোর শুরু করেছে। এরপরই এদিন নীতিন গড়করি তাঁর প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া বিতর্ককে ধামাচাপা দিতে সাফাই দিলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে যে ১২টি সংস্থায় করোনা টিকা উৎপাদন হবে, তা তিনি জানতেন না।
এদিন টুইট বার্তায় গড়করি লেখেন, 'স্বদেশী জাগরণ মঞ্চের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য পেশের সময় আমি টিকাকরণ বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পরামর্শ দিয়েছিলাম। তবে আমি জানতাম না যে আমার সেই বক্তব্যের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনশুখ মান্ডভিয়া কেন্দ্রের তরফে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে কীভাবে টিকাকরণ আরও দ্রুত করা হবে।'
গড়করি আরও লেখেন, 'সম্মেলনের পরই আমাকে তিনি (মনশুখ মান্ডভিয়া) আমাকে জানান যে কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে ১২টি টিকা উৎপাদনকারী প্ল্যান্টকে অনুমোদন দিয়েছে করোনা টিকা তৈরি করার জন্য। টিকাককরণ প্রক্রিয়া দ্রুত গতিতে চালাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এই বিষয়টি জানতে পেরে আনন্দিত এবং আমি তাঁর মন্ত্রককে শুভেচ্ছা জানাতে চাই কারণ তাঁরা সঠিক পথেই এগোচ্ছেন। এই পুরো বিষয়টি অন-রেকর্ড রাখা প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়েছে।'
এর আগে এক অনুষ্ঠানে গড়করিকে বলতে শোনা যায়, 'যদি সরবরাহের থেকে টিকার চাহিদা বেশি হয়ে থাকে তা সমস্যা তৈরি করবে। একের বদলে দশটা সংস্থাকে যদি টিকা উৎপাদনের লাইসেন্স দেওয়া হয়... ওদেরকেও করোনা টিকা উৎপাদন করতে দেওয়া হোক। এরপর যদি বেশি টিকা থেকে যায়, তাহলে সেটা রপ্তানি করে দেওয়া যেতে পারে। প্রতিটি রাজ্যেই দুটো-তিনটে করে ল্যাব আছে। তাদেরকে এটা বানাতে দেওয়া হোক। কোনও বিনামূল্য পরিষেবা না, বরং ১০ শতাংশ রয়্যালটির বিনিময়ে করতে দেওয়া হোক।'
এদিকে এই পুরো বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস। কংগ্রেসের তরফে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম রমেশ এদিন বলেন, 'তাঁর (নীতিন গড়করি) বস (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী) কি শুনছেন? গত ১৮ এপ্রিল এই কথাটাই তো বলেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিং। সমস্যটা হল, দেশ আরও বেশি টিকা চাইছে, কিন্তু কেন্দ্র শুধউ ফেক টুলকিট দিচ্ছে।'