মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে গণেশের প্রতিমাকে পরানো হয়েছিল আরএসএস-এর ইউনিফর্ম। এই ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছিল। সেই ঘটানয় এবার গেরুয়া শিবিরকে পালটা তোপ দেগে কংগ্রেস দাবি করল এই ঘটনায় ভগবান গণেশের অপমান হয়েছে। হাত শিবির ভগমানের কাছ থেকে তাই ক্ষমা প্রার্থনাও করে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ভাবে গণেশ প্রতিমা সাজিয়ে আরএসএস হিন্দুদের ভাবাবেগকে ক্ষুণ্ণ করেছে।
এদিকে কংগ্রেসের এহেন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন পুজোর আয়োজক তথা আরএসএস কর্মী বলওয়ান্ত সিং। তিনি জানান, আরএসএস যেভাবে সারাক্ষণ মানুষের সেবায় নিয়োযিত থাকে, তাতে এই সংগঠনের মধ্য দিয়েই ঈশ্বরের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয় মানুষের কাছে। এই ভাবনা থেকেই গণেশের প্রতিমায় আরএসএস-এ ইউনিফর্ম পরিয়ে অভিনবত্ব আনার চেষ্টা করা হয়েছে।
পুজোর আয়োজক বলেন, 'নবদুর্গার সময়, আমরা দেবী দুর্গাকে স্টেথোস্কোপ, পিপিই কিট এবং সাদা অ্যাপ্রন পরতে দেখেছিলাম কারণ ডাক্তাররা অনেক জীবন বাঁচিয়েছিলেন। একইভাবে, আমি আরএসএস কর্মীদের হাসপাতালে বিছানা এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে সাহায্য করতে এবং ওষুধ, খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করতে দেখেছি। এজন্যই আমি স্বয়ং সেবক হিসেবে গণেশের মূর্তি স্থাপন করেছি। এতে দোষের কিছু নেই।'
যদিও কংগ্রেস নেতারা মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারীর আদর্শকে সমর্থন করে এমন সংগঠনের কর্মী হিসেবে গণেশকে উপস্থাপন করার বিষয়কে দেবতার অপমান হিসেবে দেখছে। কংগ্রেস মুখপাত্র কেকে মিশ্র এই বিষয়ে বলেন, 'নাথুরাম গডসে কে ছিলেন এবং তার আদর্শ কী ছিল তা সবাই জানে। ভগবান গণেশকে আরএসএস কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করে, তারা ভগবান এবং হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিগুলিকে অপমান করেছে। এজন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।'
এদিকে এই বিষয়ে আয়োজকের পাশেই রয়েছে বিজেপি। দলের মুখপাত্র আশীষ আগরওয়াল এই বিষয়ে বলেন, 'এটি কেবল একজন ব্যক্তির অনুভূতি যে তারা স্বয়ং সেবককে ঈশ্বর রূপে দেখছে। হিন্দু ধর্মে, দেবতারা সর্বব্যাপী এবং আমরা তাদের যে কোনও জায়গায় এবং যে কোনও রূপে অনুভব করতে পারি।'