তামিলনাড়ুতে সংঘ অধিপতিকে পালকিতে চাপিয়ে ঘোরার যে আচার অনুষ্ঠান তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার তা নিয়ে বিতর্ক একেবারে তুঙ্গে উঠেছে। শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে তরজা চরমে। এদিকে দ্রাবিড়া কাঝাগামের সভাপতি কে বীরামণি এই ধরণের আচার অনুষ্ঠানের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। আগামী ২২শে মে এই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা আছে। তবে অনেকের মতে এই ধরনের কর্মসূচি পালন করা মানে তা মানবাধিকার হরণের সমান। এই আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভক্তরা ধর্মপূরম আধিনাম অর্থাৎ সংঘের প্রধানকে একটি রুপোর সিংহাসনে বয়ে নিয়ে যান। এটি পাট্টিনা প্রবেশম বলেও পরিচিত।
এদিকে গত ২৭ এপ্রিল প্রশানের তরফে নির্দেশ জারি করে এই ধরণের প্র্যাকটিশ বন্ধ করা হয়েছে। তবে ওই অনুষ্ঠানে অন্য কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। তবে প্রশানিক এই নির্দেশে ক্ষুব্ধ সংঘের অন্যান্যরা। এদিকে বহু বছর ধরে এই প্রথা চলে আসছে।
ইতিমধ্যেই মাদুরাই আধিনামের অধিপতি বা গুরু শ্রীল শ্রী হরিহর শ্রী জ্ঞানসম্বন্ধ দেশিকা স্বামীগাল মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের কাছে আবেদন করে ফের এই প্রথার অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তাঁর মতে ধর্মীয় ব্যাপারে এভাবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ করাটা ঠিক হচ্ছে না। এদিকে প্রশাসনের যুক্তি এভাবে রূপোর সিংহাসনে কাউকে চাপিয়ে কেউ বয়ে নিয়ে যাচ্ছে এটা মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে অন্তরায়।
এদিকে বিধানসভাতেও প্রধান বিরোধী এআইএডিএমকে জানিয়েছে, এভাবে প্রাচীন প্রথা বন্ধ করা ঠিক নয়। বিজেপিরও দাবি এই নির্দেশ তুলে নিতে হবে।